ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৬ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১

সোনালী ব্যাংকের ই-ওয়ালেট পেল ‘শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগ’ পুরস্কার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৩৭, ২২ মে ২০২৪

সোনালী ব্যাংকের ই-ওয়ালেট পেল ‘শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগ’ পুরস্কার

সোনালী ব্যাংকের বিদ্যমান সেবার মধ্যে বিপুল গ্রাহক সন্তুষ্টি ও জনপ্রিয়তা

সোনালী ব্যাংকের বিদ্যমান সেবার মধ্যে বিপুল গ্রাহক সন্তুষ্টি ও জনপ্রিয়তা অর্জন করা সোনালী ই-ওয়ালেট অ্যাপ লাভ করেছে ‘শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগ’ পুরস্কার। চালুর পর হতেই সাড়া জাগানো এই মোবাইল অ্যাপটিতে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে দারুণ সব ফিচার। এতে করে ঘরে বসেই দেশ ও বিদেশ হতে গ্রাহকরা দ্রুত সময়ে সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা নিতে পারছেন খুব সহজেই।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ এর ইনোভেশন প্রদর্শনীর (শোকেসিং) রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক ক্যাটাগরিতে সোনালী ই-ওয়ালেট অ্যাপটিকে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগ হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান সোনালী ব্যাংক পিএলসির প্রতিনিধির হাতে এ পুরস্কার হিসেবে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকারের সক্রিয় অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করে চলছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সর্ববৃহৎ ব্যাংক সোনালী ব্যাংক পিএলসি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এবং অ্যাপভিত্তিক সেবা চালুর মাধ্যমে ব্যাংকটি স্মার্ট ব্যাংকিংয়ে অনেকদূর এগিয়েছে দেশব্যাপী শতভাগ অনলাইন ব্যাংকিংসেবা প্রদানকারী এ ব্যাংকটি।

দেশ ও বিদেশ হতে গ্রাহকের জন্য সেবা আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে তুলতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন প্রযুক্তিনির্ভর সেবা ও অ্যাপ চালু করে আসছে ব্যাংকটি। এরই ধারাবাহিকতায় চালুকৃত সোনালী ই-ওয়ালেট অ্যাপটি শুরু হতে গ্রাহকের আস্থা ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে পেরেছে। বর্তমানে এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ লক্ষাধিক।

দৈনিক লেনদেনের সংখ্যা গড়ে ৫৩ হাজারের বেশি। সোনালী ই-ওয়ালেট অ্যাপ ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টা গ্রাহক ব্যাংকের এক হিসাব থেকে অন্য হিসেবে টাকা স্থানান্তর, সোনালী ব্যাংকের হিসাব থেকে অন্য যে কোনো ব্যাংকের হিসাবে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে টাকা স্থানান্তর, মোবাইল ফোনে ব্যালেন্স রিচার্জ, অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স চেক ও স্টেটমেন্ট চেক, এনপিএসবি, বিইএফটিএন করে টাকা পাঠানো, বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, ডিপিডিসি, বিটিসিএল ও ডেসকোর বিল পরিশোধ, ক্রেডিট কার্ডের বিল এবং বিভিন্ন মেয়াদি ডিপিএসের মাসিক কিস্তি জমা ও মার্চেন্ট পেমেন্টসহ নানাবিধ সেবা পাচ্ছেন।

এ ছাড়া এই অ্যাপ ব্যবহার করে সঞ্চয়ী হিসাব ও ক্রেডিট কার্ডের টাকা মোবাইল ফাইন্যান্সিং সার্ভিস হিসাবেও জমা করা যায়। ই-ওয়ালেট ব্যবহারের মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যান করে ব্যাংকের চেক বই ও স্বাক্ষর যাচাই করা ছাড়াই গ্রাহক যে কোনো শাখা থেকে তাৎক্ষণিক অর্থ উত্তোলন করতে পারেন। এর ফলে গ্রাহক এখন খুব সহজেই তার সুবিধামতো স্থান থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ই-ওয়ালেট অ্যাপে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু নতুন সেবা। বিদ্যমান ফিচারের পাশাপাশি এই অ্যাপের মাধ্যমে এখন গ্রাহকরা ঘরে বসেই ডিপিএস ও এফডিআর হিসাব খুলতে পারবেন। বিভিন্ন ঋণের কিস্তি পরিশোধ ছাড়াও অ্যাপ থেকেই ডেবিট কার্ডের বিভিন্ন সেবা, চেক বইয়ের চাহিদা ও ট্যাক্স রিটার্ন স্লিপ আপলোড করতে পারবেন।
ই-ওয়ালেটের শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগ পুরস্কার লাভ বিষয়ে ব্যাংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আফজাল করিম বলেন, এটি ব্যাংকের সুদক্ষ পরিচালনা পর্ষদ ও আমার সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে সম্ভব হয়েছে। আফজাল করিম আরো বলেন, এসব স্বীকৃতি ও আমাদের বর্তমান সক্ষমতা, সেবার মান প্রমাণ করে আগামীদিনে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ইকোনমি প্রতিষ্ঠায় সোনালী ব্যাংক ব্যাংকিংখাতে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছে।

×