কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা পশুগুলো কেনার পর কোরবানির অযোগ্য হতে পারে।
সঠিক পশু নির্বাচনের মাধ্যমে কোরবানি দিতে হয়। তাই প্রশ্ন উঠতে পারে, কোরবানির উপযুক্ত পশু কীভাবে চিনবেন? পশু নির্বাচনের দিকনির্দেশনাগুলো কী? কেননা কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা পশুগুলো কেনার পর কোরবানির অযোগ্য হতে পারে। ফলে কোরবানির জন্য কোন পশুটি উপযুক্ত, তা জেনে নেওয়া জরুরি।
১. সব সময় দেশি গরু কেনার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা চাইলেও দেশি গরু বেশি মোটাতাজা করা যায় না।
২. গরু বা মহিষের বয়স ন্যূনতম ২ বছর হলে কোরবানির জন্য উপযুক্ত হবে। পশুর দাঁত দেখে বয়স যাচাই করা যায়।
৩. তবে উটের বয়স ৫ বছর হবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার বয়স পূর্ণ ১ বছর হতে হবে।
৪. গরুর নিচের পাটিতে যদি দুধ-দাঁতের পাশাপাশি সামনে অন্তত দুটি কোদালের মতো স্থায়ী দাঁত থাকে, তাহলে বুঝতে হবে গরুটি কোরবানির উপযুক্ত।
৫. কোরবানির পশুটি শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে হবে।
৬. পশুর শিং ভাঙা, লেজ কাটা বা মুখ, জিহ্বা, শরীর, পা, ক্ষুর, গোড়ালিতে কোনো ক্ষত আছে কি না দেখে নিতে হবে।
৭. মহিলা পশু কোরবানির দেওয়া গেলেও অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে, সেটি গর্ভবতী কি না।
৮. গর্ভবতী পশু কোনো অবস্থাতেই কোরবানি দেওয়া যাবে না। সাধারণত গর্ভবতী পশুর পেট ও ওলান ফোলা থাকে।
৯. মোট ৬ ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায়। উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। পশুগুলোকে ত্রুটিমুক্ত থাকতে হবে।
এবি