ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

কী চাই

ফাহমিদা মঞ্জু মজিদের দুটি বই

প্রকাশিত: ২০:২৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফাহমিদা মঞ্জু মজিদের দুটি বই

.

লন্ডন শহরের ভিক্টোরিয়া পার্কে এক মিষ্টি বিকেল। একগুচ্ছ ফুলের মতো কিশোরী বন্ধুদের সুন্দর সমাবেশ পিকনিক আর মিটিং চলছে। সমস্যার সমাধান খুঁজতে সবাই এখানে জড়ো হয়েছে। সবাইকে একমত হতে হবে। নানা মুনির নানা মত। তবু জীবনের আলো ছায়ার পথ ধরে আলোচনা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত এই টিনেজাররা সত্যিই এক অপূর্ব সমাধানে পৌঁছাতে পারে। সরল, স্বাভাবিক, সুন্দর সব অনুভূতি মন কাড়ে কিনা পড়েই দেখো গল্পটা।

বিদেশী পটভূমিতে লেখা এই গল্পের অলংকরণ যে করেছে, সে নিজেও একজন কিশোরী। তাই তো আপন মনের রঙে সে চরিত্রগুলোকে রাঙিয়ে তুলেছে।

বইটি লিখেছেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক ফাহমিদা মঞ্জু মজিদ। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসা-মনোবিদ। শিশুদের জন্য, বিশেষত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য তিনি নানামুখী কর্মকা- নিয়োজিত রেখেছেন নিজেকে। জাতি ধর্ম বর্ণ লিঙ্গ শ্রেণি শারীরিক সীমাবদ্ধতা নির্বিশেষে সকল শিশুর জন্য একটি অখ-, শান্তিময়, নিরাপদ, মানবিক পৃথিবীর স্বপ্ন ধরা রয়েছে তার বইয়ের পাতায়। এই লেখকের প্রথম বইছড়ানো ছড়া প্রকাশিত হয় ১৯৮০ সালে। নিরলস লিখেই চলেছেন সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে। শিশুদের জন্য গল্প, ছড়া, নাটক ইত্যাদি ছাড়াও পরিণত পাঠকের জন্য লিখেছেন বেশ টি কাব্যগ্রন্থ। তার শিশুতোষ বইয়ের সংখ্যা কুড়ির অধিক। বইটিতে ছবি এঁকেছে জ্যোৎস্না মে সিজার। বইটি প্রকাশ করেছে পাঞ্জেরী।

লাল কণিকা

বাংলাদেশে যে বংশগত রোগ নিয়ে শিশুজন্ম হার আশংকাজনকভাবে বেড়ে চলেছে তার নাম থ্যালাসেমিয়া। এক হিসাবে জানা যায়, প্রতি বছর কমপক্ষে সাত হাজার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু জন্ম নিচ্ছে বাংলাদেশে। যাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন নিয়মিত রক্তগ্রহণ করা। বাংলাদেশে এক কোটিরও বেশি মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক। বাবা-মা বাহক হলে সন্তানও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়। কারণে বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা খুব জরুরি।

প্রতিভাবান শিশু সাহিত্যিক ফাহমিদা মঞ্জু মজিদ তার জাদুকরী বর্ণনায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক শিশুকে নিয়ে সাজিয়েছেন এই বই। যে তার সব কষ্ট দূর করে স্বপ্ন দেখে মানুষ হবার। বইয়ের মূল চরিত্র পলাশী মিয়া তার পরিবারের প্রয়োজনে রিকশা চালায়, রিকশা চিত্র আঁকে। দৃঢ় মনোবল নিজের স্বপ্ন পূরণে লেগে থাকার মাধ্যমে যে কেউ সাফল্য পেতে পারে তাই জানা যাবে এইলাল কণিকা থেকে। বইটির প্রচ্ছদসহ ভেতরের ছবি এঁকেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত রিকশাচিত্র শিল্পী এস. এম. সামসু। 

এস.এম সামসু তার ছবিতে বিস্ময়কর এক জগত তৈরি করতে পারেন। এই জগতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং হরিণ একই রিকশায় ঘুরে বেড়ায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তার রিকশাচিত্র স্থান পেয়েছে। জার্মান দূতাবাস তাকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেছে। অনেক প্রদর্শনী কর্মশালায় তিনি অংশ নিয়েছেন। তার আঁকা ছবি নিয়ে একক বই এটাই প্রথম।

ঝিলিমিলি ডেস্ক

×