ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তাপমাত্রা কমায় শীত বেড়েছে, বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

তাপমাত্রা কমায় শীত বেড়েছে, বৃষ্টি হতে পারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগের দিনের তুলনায় কমায় শীত বেড়েছে। আগের দিন শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীর বদলগাছিতে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা না মেলায় হাল্কা শীত অনুভূত হয়েছে। শনিবার বিকেলে আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক ও আবহাওয়াবিদ মোঃ আব্দুল হামিদ মিয়া স্বাক্ষরিত পূর্বাভাস বার্তায় জানানো হয় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় হাল্কা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ১৪ দশমিক ৪, চট্টগ্রামে ১৪ দশমিক ৬, সিলেটে ১৩ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ১২ দশমিক ৩, রংপুরে ১২ দশমিক ৩, খুলনায় ১৫ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ॥ পঞ্চগড় থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, তেঁতুলিয়ায় ২ দিন পর আবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা নেমে আসায় শীতের তীব্রতাও বেড়ে যায়। পশ্চিমা বায়ু ও উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। এ ছাড়া ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। তীব্র শীত ও কুয়াশার দাপটে জনজীবনে যেমন দুর্ভোগ বাড়ে, তেমনি নানা রোগ বাড়ার পাশাপাশি শীতকালীন ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শীত ও কুয়াশার কারণে ইরি- বোরোর বীজতলাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। বয়স্ক আর শিশুরা অল্পতেই কাহিল হয়ে পড়ছে। দেখা দিচ্ছে নানান রোগব্যাধী। শনিবার কুড়িগ্রাম জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। জেলার বিভিন্ন এলাকার শীতার্ত মানুষ প্রচ- ঠা-ার কারণে আগুন জ¦ালিয়ে ঠা-া নিবারণের চেষ্টা করছে। কুয়াশার কারণে সকালে হেডলাইট জ¦ালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে যায় বিভিন্ন এলাকা। মোংলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপের কারণে মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। শনিবার ভোর থেকেই মেঘ ও ঘন কুয়াশায় চারিদিকে ধোঁয়াশা অবস্থার সৃষ্টি হয়। আকাশে দেখা মেলেনি সূর্যের। রায়গঞ্জে দিনভর মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ॥ রায়গঞ্জ সংবাদদাতা জানান, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকলেও সারাদিন আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। শনিবার সকাল থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল আকাশ। ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে গেলেও সূর্যের দেখা মেলেনি। মাগুরায় শীতের তীব্রতা অব্যাহত ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, জেলায় শীতের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। হিমেল বাতাস বইছে। শনিবার বিকেলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, জ¦র ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতাল ও ক্লিনিকে শিশু রোগীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঠা-ায় শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
×