নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মেহেদি হাসান স্বপন (২৫) নামে যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। দুর্ববৃত্তরা রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ফেলে রেখে গেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার ভোররাতে সে মারা যায়। নিহত মেহেদী হাসান স্বপন সারুটিয়া গ্রামের দবিবর রহমানের ছেলে। এনিয়ে নির্বাচন পুর্ববর্তী ও পরবর্তী সহিংসতায় ওই ইউনিয়নে ৫ জন খুন হলো।
গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কাইছার টিপুর ২টি দল রয়েছে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ শুক্রবার রাতে মেহেদি হাসান স্বপন নামের ওই যুবককে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনের লোকেরা মোবাইল ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাতে তাকে বাড়ির পাশে তালতলা ব্রীজের নিকটে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে রেফার্ড করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়। সে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কাইছার টিপুর সমর্থক ছিল।
শৈলকুপা থানার এসআই (ওসি তদন্ত) মহসিন জানান, নিহত যুবক মেহেদী হাসান স্বপনকে বিবাদমান নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কাইছার টিপুর দুই গ্রুপ থেকেই তাদের সমর্থক বলে দাবি করা হচ্ছে। এ ঘটনরার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করছে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকারীদের খঁজে বের করে গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ৫ম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়নে নির্বাচিত হন নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন। নির্বাচন পুর্ববর্তী ও পরবর্তী সহিংসতায় এ নিয়ে ওই ইউনিয়নে নিহত হলো ৫ জন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: