ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দখলদারদের উচ্ছেদ ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ

প্রকাশিত: ১২:১২, ১৯ জানুয়ারি ২০২২

দখলদারদের উচ্ছেদ ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক ॥ পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বনভূমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে । আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, আমরা ইটের পরিবর্তে ব্লক ইট প্রস্তুত করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছি। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি স্থাপনায় শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহার করতে হবে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা যখন শতভাগ ব্লকে যাব তখন এমনিতেই ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ডিসিরা প্রভাবশালীদের বাধার সম্মুখীন হন- এ বিষয়ে তিনি বলেন, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে গিয়ে ডিসি সাহেবের কোনো সমস্যা হবে বলে আমরা মনে করি না। পুলিশ প্রশাসন ওনাদের সঙ্গে থাকবে। মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অনেক কাজ। বনভূমিকে রক্ষা করা, পরিবেশ সুরক্ষা করা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসকদের অনেক সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। সেই বিষয়ে আমরা ওনাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছি। 'পরিবেশ সুরক্ষার জন্য টিলা কাটা, পাহাড় কাটা, গাছ কাটা- এগুলোকে বন্ধ করার জন্য ওনারা (ডিসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। বনভূমির যেন কেউ অবৈধভাবে দখল করতে না পারে এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার বিষয়ে আমরা ওনাদের সহযোগিতা চেয়েছি। প্রাণী সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্যের কথাও তাদের বলেছি। সর্বক্ষেত্রে ওনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। তাই ওনাদের সার্বিক সহযোগিতা আমরা কামনা করেছি। ' মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৬ শতাংশ বনায়ন। এসডিজি অর্জনের জন্য ১৬ শতাংশ আচ্ছাদিত বন আমাদের দেখাতে হবে। ১৬ শতাংশ বনায়নের জন্য আমরা ওনাদের সহযোগিতা চেয়েছি। বর্তমানে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ বন রয়েছে। সামাজিক বনায়নের ক্ষেত্রে আমরা তো ২২ শতাংশের ওপরেই আছি। তিনি বলেন, দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ওনাদের (ডিসি) চিঠি দিয়ে দিয়েছি। কোন জায়গায়, কোন এলাকায়, কোন মৌজায় কতটুকু বনভূমি বেদখল আছে, সেগুলো উদ্ধারের জন্য ওনাদের সহযোগিতা আমরা আগেই চেয়েছি। তালিকা ওনাদের কাছে আছে, প্রত্যেক জেলায় আমরা পৌঁছে দিয়েছি। ওনারা আমাদের সহযোগিতা করছেন। ' দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।
×