ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

আশুরা শুধু শোক নয়, ন্যায়ের পথে নেতৃত্বের অনুপ্রেরণা : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ২৩:৫৪, ৫ জুলাই ২০২৫

আশুরা শুধু শোক নয়, ন্যায়ের পথে নেতৃত্বের অনুপ্রেরণা : প্রধান উপদেষ্টা

সংগৃহীত

আজ পবিত্র আশুরা। কারবালার রক্তাক্ত ইতিহাস স্মরণে আজ শুধু মুসলমানদের নয়, সমগ্র মানবজাতির হৃদয়ে বেজে ওঠে এক দীপ্ত শোক ও প্রতিবাদের সুর। এই দিন শুধু শোক নয় এটি ত্যাগ, ন্যায় এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক অমর সংগ্রামের প্রতীক।

আজ এক বিশেষ বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আশুরা আমাদের শেখায় কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয়। ইমাম হোসাইন (রা.)-এর আত্মত্যাগ শুধু ইতিহাস নয়, তা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে সাহস ও চেতনার আলো জ্বালায়।”

৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার প্রান্তরে ইয়াজিদের জুলুমের মুখে এক বিন্দুও নত না হয়ে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ইমাম হোসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবার। ক্ষুধা-তৃষ্ণার মধ্যেও তাঁরা ন্যায় ও সত্যের পথ ছাড়েননি। আজ সেই সংগ্রামই আশুরার গভীরতম শিক্ষা।

শাহবাগে আজ এক আশুরা আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, “কারবালার ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ধর্ম, মানবতা ও বিবেক কখনো অস্ত্রের কাছে মাথা নত করে না।”

বর্তমান বিশ্বেও হিংসা, দখলদারিত্ব ও সামাজিক বৈষম্য বিদ্যমান। আশুরা স্মরণ করিয়ে দেয় বিনাশক্তির বিপক্ষে রুখে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজন বিশ্বাস, নৈতিকতা ও ত্যাগের চেতনা।

একজন তরুণ বক্তা বললেন, “আমরা যদি আশুরার সত্যিকারের শিক্ষা ধারণ করি, তাহলে সমাজ থেকে দুর্নীতি, দমন-পীড়ন, সহিংসতা দূর করা সম্ভব।”

প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আশুরা শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি মানবতার বেদি। আমাদের উচিত ইমাম হোসাইনের মতো সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়া। তাহলেই সমাজে শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।

”তিনি আরও বলেন, “আসুন, আমরা এই দিনে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নতুন করে ভাবি আমার সমাজে কি সত্যিই ন্যায় আছে? যদি না থাকে, তবে এবার থেকেই শুরু হোক পরিবর্তন।”

আপনি যদি ইমাম হোসাইনের আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত হন, তাহলে আজ থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন। আপনার চারপাশের ন্যায়বিচারহীনতা নিয়ে সোচ্চার হোন। কারণ, আশুরার শিক্ষা একদিনের নয়, এটি প্রতিটি দিনের জন্য।

হ্যাপী

×