ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটা সৈকতে বালু কাটা বন্ধের দাবি ॥ নষ্ট হচ্ছে সৈকতের সৌন্দর্য

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ২০ অক্টোবর ২০২১

কুয়াকাটা সৈকতে বালু কাটা বন্ধের দাবি ॥ নষ্ট হচ্ছে সৈকতের সৌন্দর্য

নিজস্ব সংবাদদাতা,কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ কুয়াকাটা সৈকত এবং সৈকতের বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা রক্ষার নামে জিরো পয়েন্টসহ আশপাশ থেকে যে যার মতো করে বালু উত্তোলন করছে। ফলে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ফ্রী স্টাইলে এসব চলছে। কোন ধরনের সমীক্ষা না করেই কখনও ড্রেজার লাগিয়ে, আবার কখনও লেবার দিয়ে সৈকতের বেলাভূমে খনন করে বালু কাটা হয়। এতে সৈকতের লেভেল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বালু কাটায় নিচু গর্তে পানি জমতে দেখা গেছে। কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ বিষয়টি নিয়ে কোন ধরনের কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছেন না। ফলে বন্ধ হচ্ছে না সৈকতের বালু কাটা। কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে এখন দেখা যায় এবড়ো থেবড়ো অবস্থা। উঁচু নিচু বেলাভূমিতে নিরাপদে হাঁটা যায়না। বালুর বস্তা, আবার কংক্রিটের আস্তরণ, কোথাও বালু কাটার স্পটে ছোট ডোবার মতো পানি জমে অাছে। যেন অচেনা কোন নদীর তীর। জোয়ারের সময় ওয়াকিং জোন থাকছে না। চীরচেনা সৌন্দর্যমন্ডিত কুয়াকাটা সৈকত মনে হয় না। তাই পর্যটকসহ সচেতন মানুষের আবেদন কুয়াকাটা সৈকত থেকে ফ্রী স্টাইলে বালু কাটা বন্ধ করা হোক। কুয়াকাটা সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষা করা প্রয়োজন। বাণিজ্যিক ক্যামেরাম্যান মোঃ রাসেল বলেন, ' বালু তোলার কারনে বীচের লেভেল উঁচু নিচু হইয়া গেছে। আগে সমান লেভেল ছিল। হাটা চলায় রিস্ক ছিল না। এখন হঠাৎ দৌড় দিলে রিস্ক হইয়া যায়। এই বছর বহু পর্যটক হাত-পায়ে আঘাত পাইছে। ' দোকানি নুরুল আমিন জানান, বালু কাটায় আসলেই বীচের ক্ষতি হইছে। সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, তিনি বালু কাটা বন্ধ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বীচের সৌন্দর্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
×