ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংলাপে তাজুল

ডিসেম্বরের মধ্যেই ড্যাপ চ‚ড়ান্ত করা হবে

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

ডিসেম্বরের মধ্যেই ড্যাপ চ‚ড়ান্ত করা হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে তৈরি করা ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) চূড়ান্ত করা হবে। মন্ত্রী বলেন, আমরা এরইমধ্যে ড্যাপের অংশীজনদের মতামত নিয়েছি। এখন পর্যালোচনা চলছে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত করা যাবে। আগামী এক মাসের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ফিলিপিন্সে প্রচুর জনগণ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। তাদের থেকে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেক ভাল অবস্থানে রয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের অন্যান্য সুন্দর শহরগুলোর মতো করে ঢাকাকে তৈরি করার সুযোগ নেই। সর্বত্র বহুতল ভবন করে ফেলেছে। ঢাকা শহরে এখন দুই কোটির বেশি মানুষ রয়েছে। যা বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাজধানী থেকে কাউকে জোর করে বের করা যাবে না। সেজন্য আমরা গ্রামে সুযোগ-সুবিধা বাড়াচ্ছি। তিনি বলেন, এখন সকল নাগরিক সমান হোল্ডিং ট্যাক্স, বিদ্যুত বিল, পানির বিল দিচ্ছেন। কিন্তু এখন যদি গুলশানে হোল্ডিং ট্যাক্স, বিদ্যুত বিল বাড়িয়ে দেই, তাহলে তারা গুলশান কিংবা ধানমÐি না থেকে টঙ্গী চলে যাবেন। তাহলে টঙ্গীতেই তার সুবিধা করে দিতে হবে। রাজধানী ঢাকাকে একটি পরিকল্পিত নান্দনিক শহরে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৬-২০৩৫ সাল পর্যন্ত ২০ বছরের জন্য তৈরি করা হয় ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান বা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)। ঢাকা ও এর আশপাশের এরিয়া ধরে মোট এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার ভূমি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ঢাকাকে একটি মানবিক ও দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার মূল লক্ষ্য বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রয়োজন ও জীবনযাত্রাকে উন্নত করা। বিভিন্ন দেশের ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য তুলে ধরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ফিলিপিন্সে প্রচুর মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের থেকে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেক ভাল অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক যে, এবার ডেঙ্গুতে অনেক শিশু মারা গেছে। অনেকে স্বজন হারিয়েছেন। আমরা আর একজনকেও হারাতে চাই না। এবার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে এটা পরের সময়গুলোতে কাজে লাগিয়ে পদক্ষেপ নেব। মন্ত্রী আগামী এক মাসের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, দীর্ঘ সময় মানুষজন ছুটিতে বাড়িতে থাকায় বাসা-বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে পানি জমে এডিস মশার জন্ম হয়েছে। তবে এ পরিস্থিতি এক মাসের মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। ডেঙ্গু নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গত দুই বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এর প্রধান কারণ, এবার দীর্ঘ সময় ধরে চলা বিধিনিষেধ ও ঈদের ছুটি। ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের বিদেশ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। তবে এখন চলে এসেছেন। আমাকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেনও। তিনি যথেষ্ট কাজ করছেন। দক্ষিণে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না। পাশের বাড়ির মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে তারপরেও এরা সচেতন হচ্ছে না। এদের নিজে থেকে সচেতন হতে হবে। আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি, মশা নিধনের জন্য জরিমানা করছি। এ মাসের মধ্যে এর প্রকোপ অনেক কমে যাবে বলে জানান তিনি।
×