ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্ট্রোক থেকে দূরে থাকা যায় করোনাকালেও

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

স্ট্রোক থেকে দূরে থাকা যায় করোনাকালেও

স্ট্রোক মস্তিষ্কের রোগ। দেশের বেশিরভাগ মানুষ স্ট্রোক হার্টের রোগ মনে করে থাকেন। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির সেবা পেতে দেরি হয়। তবে করোনাকালেও এর প্রকোপ বহুলাংশ বেড়ে গেছে, দরকার সচেতনা তৈরিসহ চিকিৎসকের শরণাপন্ন থাকা। স্ট্রোক হওয়ার কারণ : আমাদের মস্তিষ্কের রক্তনালিগুলোর জটিলতায় এ রোগ হয়। রক্তনালিতে কখনও রক্ত জমাট বেঁধে স্ট্রোক হয় এবং ব্রেনের একটা অংশের সক্ষমতা নষ্ট করে দেয়ার পরে আমাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। রক্তনালির কোন অংশ কোন কারণে ছিঁড়ে রক্তক্ষরণের কারণে ব্রেনের একটি অংশ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে স্ট্রোক একটি মারাত্মক রোগ। স্ট্রোক বোঝার উপায় : সহজ ভাষায় বলি, বি ফাস্ট। অর্থাৎ বি মানে ব্যালেন্স। ব্যালেন্স মানে ভারসাম্য। যখন হঠাৎ করে ভারসাম্যহীন হবেন অথবা ই মানে আই অর্থাৎ হঠাৎ করে বøাইন্ডনেস হয় কেউ। এফ মানে ফেস। ফেসের একটি অংশ যদি এ্যাসিমেট্রি হয় অথবা একটা অংশ দুর্বল হয়। এ মানে আর্ম। আর্ম অথবা হাত যদি কখনও দুর্বল হয়ে যায় অথবা পা যদি দুর্বল হয়ে যায়। হঠাৎ করে হয় তখন আমরা বলি স্ট্রোক হয়েছে। এস মানে স্পিচ। হঠাৎ করে যদি কারোর কথা বলা বন্ধ হয়ে যায় অথবা ¯øারিং অব স্পিচ অথবা জড়তা হয়, কথায় হঠাৎ করে তখন সেটাকে আমরা বলি যে স্ট্রোক হয়েছে। টি মানে টাইম। টাইম ইজ ভেরি মাচ ইমপর্টেন্ট। টাইম ভেরি মাচ ইমপর্টেন্ট। কারণ তাড়াতাড়ি ডক্টরের কাছে যেতে হয় অথবা হসপিটালে যেতে হয়। করোনাকালে সাবধনতা : করোনাকালেও একটু বাড়তি সাবধনতার প্রয়োজন রয়েছে সবার জীবনে, কেননা নানাবিধ মানসিক চাপ,অবসাদ, ভয়, আতঙ্ক, অর্থনীতিক দুশ্চিন্তার একটা রেশ থেকেই যাচ্ছে অনেকের জীবনে, এতে করে অনেকেই হুচট খাচ্চেন, ভেঙ্গে পড়ছেন, অবসাদ গ্রস্ত হয়ে পড়ছেন, তাতে কিন্ত পুরনো রোগীসহ নতুনদেরও একটা ভয়ের কারণ থেকে যায়! তাই সবসময় নিজেকে এ সময়ে নিরাপদে রেখে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে চলা উচিত। মনে রাখবেন সবকিছুতেই মেনে নেয়ার মাঝেই সুখ। পরম করোনাময়ের সাহায্য প্রত্যাশা করুন। তবে প্রাথমিক করণীয় : স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে এক মিনিটে বাইশ লাখ নিউরন মারা যায়। এ জন্য বলি, স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর প্রতিটি সেকেন্ডই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা সময় ব্যয় না করে যখনই মনে করব স্ট্রোক হয়েছে, তখনই হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করব। অনেক সময় রোগী সিভিয়ার ভমিটিং নিয়ে আসে। সিভিয়ার হ্যাডএইক নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে যদি সাডেন অকারেন্স হয়, স্ট্রোক মনে করি, আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাব। এ স্ট্রোক থেকে আরও দুটো জিনিস বোঝা যায়- স্ট্রোক ইজ আ প্রিভেন্টেবল ডিজিজ এ্যান্ড স্ট্রোক ইজ আ ট্রিটাবল ডিজিজ। স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য রোগ। এ রোগের চিকিৎসা রয়েছে। যথাসময়ে চিকিৎসা করলে রোগী ভাল হয়। তা হলে স্ট্রোক যেহেতু প্রতিরোধ করা যায়, প্রিভেন্টেবল করা যায়, আমাদের ওই জিনিসগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে, স্ট্রোক কী কী করলে প্রিভেন্ট করতে পারি। অধ্যাপক ডাঃ এম এস জহিরুল হক চৌধুরী, ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি. শ্যামলী শাখা, ঢাকা। শুক্রবার ছুটি। মোবাইল : ০১৮৬৫৪৪৪৩৮৬; ০১৮৪৩৬১৬৬
×