ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

৬ বিধি-নিষেধ

বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ল ১৫ জুলাই পর্যন্ত

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ১৬ জুন ২০২১

বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ল ১৫ জুলাই পর্যন্ত

অনলাইন রিপোর্টার ॥ চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আবারও বাড়িয়েছে সরকার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে বিধিনিষেধ। বুধবার (১৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় এ বছরের ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথমবার বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেটি দুদিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এই বিধিনিষেধ খুব একটা কাজে না আসায় ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ২ সপ্তাহের ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ। এরপর থেকে বিভিন্ন শর্ত আরোপ ও শিথিল করে কখনো সাত দিন কখনো ১০ দিন করে এ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াতে থাকে সরকার। সবশেষ বিধিনিষেধ ছিল ৬ জুন থেকে আজ ১৬ জুন পর্যন্ত। আজ বিধিনিষেধ বাড়ানো হলো ১৫ জুলাই পর্যন্ত। বিধি-নিষেধসমূহ: ১. কোভিড-১৯ এর উচ্চঝুঁকি সম্পন্ন জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক লকডাউনসহ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন। ২. সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খোলা থাকবে। ৩. সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। ৪. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক পাটি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ৫. আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (টেকওয়ে/অনলাইন) করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারবে। ৬. সব ধরনের গণপরিবহন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে। উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব সিনিয়র সচিব/সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো রকম রিস্ক না নিতে লকডাউনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। গত ১৪ জুন মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলছিল আনোয়ারুল ইসলাম।
×