ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন মন্ত্রিসভায় চমক মমতার

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ৪ মে ২০২১

নতুন মন্ত্রিসভায় চমক মমতার

অনলাইন ডেস্ক ॥ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতা সরকারের মন্ত্রিসভায় এবার দেখা যেতে পারে অনেক নতুন মুখ। মন্ত্রী বাছাইয়ে তারুণ্য ও যোগ্যতাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী কে হবেন, এই নিয়ে চলছে জল্পনা। দলীয় বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে বড়সড় চমক দিতে চলেছেন মমতা। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারুণ্য ও যোগ্যতাকে সব চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ভোটে জিতলেও বাদ যেতে পারেন আগের বেশ কয়েক জন মন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্বও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় আঞ্চলিক ভারসাম্যও বজায় রাখা হবে। তবে এবার অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব কে সামলাবেন, তা নিয়ে বেশ ধন্দে রয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের এক বিদায়ী মন্ত্রীর জানান, এ বার যারা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে এমন কাউকে আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। বিদায়ী অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র গত ১০ বছর ধরে নীরবে রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। তার আমলেই রাজস্ব আদায় সব চেয়ে বেশি বেড়েছে। জিএসটি কার্যকর করার পিছনে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। গত এক দশকে রাজ্যে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথীসহ একের পর এক সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে। চালু হয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংশোধিত বেতনক্রম। করোনা অতিমারি এবং আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতেও কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তার পরেও রাজ্যের অর্থনীতি যে এখনও বেশ সাবলীল, সেই ব্যাপারে অনেকটা কৃতিত্ব প্রাপ্য অমিত মিত্রর। অর্থের পাশাপাশি তিনি শিল্প দফতরও সামলেছেন। ২০১১ ও ২০১৬ সালে পর পর দুবার খড়দহ থেকে ভোটে জেতা অমিত মিত্র এবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভোটে লড়তে রাজি হননি। নতুন অর্থমন্ত্রীর ব্যাপারে চারটি সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এক- অমিত মিত্রকে বুঝিয়ে রাজি করানো, পরে তাকে জিতিয়ে আনতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। দুই- মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতেই অর্থ দফতর রেখে দিতে পারেন। তিন- অর্থনীতি বোঝেন, এমন লোককে জিতিয়ে এনে অর্থমন্ত্রী পদে বসানো হতে পারে। চার- অনেকে আবার সম্ভাব্য অর্থমন্ত্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। শুভেন্দু অধিকারী, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গৌতম দেবের মতো উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিরা এবার ভোটে জিততে পারেননি। আর এক মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা ভোটের টিকিটই পাননি। সম্ভাব্য নতুন মন্ত্রী হিসেবে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে নির্বাচিত এক চিত্রতারকার নাম শোনা যাচ্ছে। তাছাড়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ থেকে তিন-চার জন মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন। নতুন মন্ত্রী হিসেবে শোনা যাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার এক যুবনেতার নামও।
×