ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তিনদিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

তিনদিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় পালাবদলের পর প্রথম দেশটির সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তিনদিনের সফরে সোমবার রাতে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে তার। মোমেন সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমেরিকা যাচ্ছি, এখানে আমাদের কয়েকটি মিটিং আয়োজন হয়েছে। বিশেষ করে নতুন সরকার আসছে। নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চাই।’ খবর বিডিনিউজের। যুক্তরাষ্ট্রে গত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে ডেমোক্র্যাটরা। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। সফর নিয়ে মোমেন বলেন, ‘আমি ব্রড বেইজড আলাপ করব। তারা নতুন একটা ফরেন পলিসি দিয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ এখানে ভূরাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেসব আমরা তাদের তুলে ধরব। সুতরাং তারাও আমাদের সেভাবে দেখে।’ মোমেন জানান, সফরে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং সিনেটে বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চাই। আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে, আর আমেরিকাও অনেক বড় দেশ। তাদের সঙ্গে যদি আমাদের সম্পর্ক আরও উন্নত করতে পারি, দিজ ইজ এ উইন-উইন।’ আমাদের দেশে এখন অনেক কিছু অফার করার সুযোগ আছে- এই মন্তব্য করে মোমেন বলেন, আমেরিকা এক নম্বর ইনভেস্টর ইন বাংলাদেশ। মোস্টলি ইন এনার্জি সেক্টর আবার অন্যান্য সেক্টরও আছে। আমরা এখন ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টর ওপেন করেছি। উই ওয়ান্ট টু ব্রডেনিং।’ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি গণমাধ্যমে ব্রিফিংয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। ‘আমাদের দেশ সম্পর্কে কোন কোন সময় নেতিবাচক প্রচারণা বিদেশে হয়। আমরা সেই নেতিবাচক প্রচারণা নিয়ে সেখানে দুয়েকটা মিডিয়াতে সাক্ষাতকার দেব। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নেতিবাচক প্রচারণার জবাব দেয়া।’ কী ধরনের নেতিবাচক প্রচার- সে বিষয়েও বলেন দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মোমেন। তিনি বলেন, ‘যেমন ধরুন- বলা হয় আমরা খুব বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করি। একেবারে মিথ্যা কথা। আমাদের দেশে কালেভদ্রে দুয়েকটা হয়। আমেরিকাতে পুলিশ অনেক লোক মারে, ইচ্ছা করে মারে না, মরে যায়। গত এক বছরে দেখেন ১০০৪ জনকে পুলিশ মেরে ফেলেছে। উইদাউট ডিউ প্রসেস অব দি ল’। ইচ্ছা করে তো মারে না, বিভিন্ন কারণে মারা যায়। আর আমাদের এখানে মনে হয়, যেন আমরা ইচ্ছা করে করেছি!’ কোন কোন গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেবেন, তা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘মিডিয়া হাউজ ওদের ওপর নির্ভর করবে।’ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা এর আগেও আমন্ত্রণ জানিয়েছি। নতুন সরকারকেও আমরা একই রকম আমন্ত্রণই জানাব।’
×