ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন ধরনের করোনা সত্তরের বেশি দেশে ছড়াল!

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ২৮ জানুয়ারি ২০২১

নতুন ধরনের করোনা সত্তরের বেশি দেশে ছড়াল!

অনলাইন ডেস্ক ॥ মহামারীর সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য দেওয়ার সময় জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, করোনার অতিসংক্রামক ধরন সবার আগে ব্রিটেনে পাওয়া গেছে। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত বিশ্বের সব অঞ্চলের ৭০ দেশে তা ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার এ ধরন ভিওসি ২০২০১১২/০১ কিংবা বি.১.১.৭ হিসেবে পরিচিত, যা ভাইরাসটির আগের ধরনগুলোর চেয়ে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে। গত সপ্তাহে এ ধরন ১০টির বেশি দেশে উপদ্রুত হয়েছে। একটি গবেষণার বরাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গত সপ্তাহে বলেছেন, করোনার এ ধরন আরও প্রাণঘাতী রূপ নিতে পারে। কিন্তু বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই ফল প্রাথমিকভাবে পাওয়া। এই তথ্যে সমর্থন দিতে আরও বিশ্লেষণের দরকার। কোভিড-১৯ রোগের নতুন নতুন ধরন রোগটিকে আরও বেশি সংক্রামক করে তুলছে, যা সত্তরটিরও বেশি দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করোনার টিকা ও জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ-কোষ অ্যান্টিবডিকে কম কার্যকর করে তুলতে পারে। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন তথ্য দিয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে। নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সব ভাইরাসই নতুন অণুতে বিভক্ত হওয়ার সময় রূপান্তরিত হয়। আর করোনার জন্য দায়ী সার্স-কভ-২ ভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের রূপান্তর পর্যবেক্ষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এই ব্যাপক রূপান্তরকে খুব বেশি একটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই রূপান্তর শনাক্ত করতে দেশগুলোকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। কারণ তা মারাত্মক সংক্রামকে পরিণত হয় কিনা; তা দেখতে হবে। অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার ৫০১.ভি২ ধরন পাওয়া গেছে। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসের এই ধরন এখন পর্যন্ত ৩১ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এক সপ্তাহের বেশি সময়ের মধ্যে ছড়িয়েছে আটটি দেশে। করোনার ব্রিটিশ ধরনের মতোই দক্ষিণ আফ্রিকার এই ধরনের সুচালো প্রোটিনে রূপান্তর ঘটেছে। ভাইরাসের এই অংশটিই মানব কোষে লোগে থাকে এবং সংক্রমণে সহায়তা করে। যে কোনো ধরনের চেয়ে এই ভাইরাস যে কারণে বেশি সংক্রামক। কাজেই ভাইরাসের এই ধরনের পুনঃসংক্রমণের অনেক বেশি ঝুঁকি রয়েছে। আর ক্রমবর্ধমান উদ্ভাবিত টিকার কার্যকারিতাকেও তা বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা বলছে যে ভাইরাসের এ ধরন ক্রমবর্ধমান পুনঃসংক্রমণের আভাস দিচ্ছে না।
×