ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত সন্জীদা খাতুন ও কাজী সাজ্জাদ জহির

প্রকাশিত: ২৩:০১, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত সন্জীদা খাতুন ও কাজী সাজ্জাদ জহির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারতের মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত হলেন বাংলাদেশের দুই গুণীজন। তারা হলেন দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ড. সন্জীদা খাতুন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক। সোমবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এক বার্তায় এ তথ্য জানায়। ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, চলতি বছর ভারত সরকারের পদ্মশ্রী খেতাবে ভূষিত হয়েছেন সঙ্গীতজ্ঞ সন্জীদা খাতুন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক। ভারতীয় হাইকমিশন থেকে তাদের দুজনকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এদেশের সংস্কৃতিচর্চা ও আন্দোলনের এক অগ্রপথিক সন্্জীদা খাতুন। তিনি একাধারে রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সঙ্গীতজ্ঞ ও শিক্ষক। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বর্তমান সভাপতি। এছাড়া তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। পাকিস্তান আমল থেকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জাগরণে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছেন সন্জীদা খাতুন। দেশের সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি রয়েছেন সামনের কাতারে। অন্যদিকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতাযুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক খেতাব প্রদান করে। সাজ্জাদ আলী জহির ১৯৬৯ সালের শেষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাকুল সামরিক একাডেমিতে সিনিয়র ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আগস্ট মাসের শেষে তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে যুদ্ধে যোগ দেন। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার হিসেবে ১৯৫৪ থেকে প্রতিবছর প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ এবং পদ্মশ্রী পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে। এই পুরস্কারগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তিবিশেষ এবং সংগঠনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য ও ব্যতিক্রমী সাফল্যগুলোর স্বীকৃতি জানানো হয়।
×