ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দৌলতপুরে ১১ অবৈধ ইটভাঁটিতে ৬৯ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ২০ জানুয়ারি ২০২১

দৌলতপুরে ১১ অবৈধ ইটভাঁটিতে ৬৯ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় অবৈধ ইটভাঁটিতে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। ভ্রাম্যমান আদালতে এ পর্যন্ত ১১ টি ইটভাঁটিতে মোট ৬৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বুধবার র‌্যাব -১২ এর কুষ্টিয়ার অধিনায়ক মেজর গাফ্ফারুজ্জামান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মণ উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, কোন ধরনের কাগজপত্র বা সরকারের লাইসেন্স বাদে অবৈধভাবে ভাঁটি পরিচালনা করার দায়ে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত দৌলতপুর উপজেলার ১১টি ইটভাঁটিতে অভিযান চালায়। এ সময় ইটভাঁটি প্রস্তুত ও ভাঁটি স্থাপন নিয়ন্ত্রন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর বিভিন্ন ধারায় দৌলতপুরের রিফায়েতপুর এলাকার বি.এইচ.এন ব্রীকসের মালিক আসাদুজ্জামানকে ৭ লাখ টাকা, এম.বি.এন ব্রীকসের মালিক ঝুমুর আলীকে ৭ লাখ টাকা, নারায়ণপুরের এ.বি.সি ব্রীকসের মালিক আব্দুস সালামকে ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা, দৌলতপুরের এবিসি ব্রিকসের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক কে ৬ লাখ টাকা, দৌলতপুর হাসপাতাল রোডে এ.এম.বি ব্রীকসের মালিক হাজী ইয়াসিন আলিকে ৮ লাখ টাকা, ডাংমড়কা এলাকার এম.আর.এন ব্রীকসের মালিক মোফাজ্জল হককে ৮ লাখ টাকা, সাদীপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের এ এল এল সি ব্রীকস ও এল এল বি ব্রীকসকে ১০ লাখ টাকা, ডাংমড়কা এলাকার পলাশ হোসেনের মালিকানাধীন এনবিএল ব্রীকসকে ৮ লাখ, একই এলাকার শরিফুল ইসলামের মালিকানাধীন এইচএলবি ব্রীকসকে ১ লাখ টাকা ও ডাংমড়কা এলাকার বি.এস.বি ব্রীকসের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনকে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। এ সময় অবৈধ এসব ইটভাঁটির অংশ বিশেষ ভেকু মেশিন দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। র‌্যাব -১২ এর কুষ্টিয়ার অধিনায়ক মেজর গাফ্ফারুজ্জামান বলেন, সরকারের কোন অনুমতি ছাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই ইটভাঁটি গুলো অবৈধভাবে চালিয়ে আসছে। এতে পরিবেশের চরম ক্ষতি হচ্ছে। সরকারের অনুমতি ছাড়া কোন ভাঁটিকেই চলতে দেয়া হবে না। এই অভিযান চলমান থাকবে। পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি অবৈধ ইটভাঁটিতে অভিযান চালানো হবে।
×