ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনা

বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র রুখতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২০ জানুয়ারি ২০২১

বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র রুখতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে

সংসদ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারী দলের সংসদ সদস্যরা বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নতুন করে আবারও তারা ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। পথহারা পথিক এই বিএনপির নেতৃত্বাধীন অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। পথহারা পথিকের মতোই তাদের ঘুরতে হবে, চিরদিনের জন্য নির্বাসিত হতে হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবটি উত্থাপন করলে সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন। প্রথম দিনে আলোচনায় অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সরকারী দলের শহীদুজ্জামান সরকার, অসীম কুমার উকিল, বেগম সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সৈয়দা রুবিনা আখতার, বেগম শবনম জাহান এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু। আলোচনায় অংশ নিয়ে উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার গত এক যুগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশের উন্নয়ন ও বদলে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের গর্ব যে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষ’ পালন করছি। মহামারী করোনা মুজিববর্ষ পালনে কিছুটা বাধার সৃষ্টি করলেও বাঙালী জাতি তাঁর হৃদয় থেকেই জাতির পিতাকে স্মরণ করছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয় মেয়াদে সারাদেশের চিত্রই পাল্টে গেছে। রামপাল ও মংলা উপজেলা একসময় নদী-নালা, খাল-বিল এলাকা ছিল। সচচেয়ে পশ্চাৎপদ এলাকা ছিল। এখন এই এলাকা দেশের অনেক এলাকাকে উন্নয়নের দিক থেকে ছাড়িয়ে গেছে। সাবেক হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের সবচাইতে বড় অর্জন যেমন স্বাধীনতা, তেমনি আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হচ্ছে আমরা জাতির পিতাকে রক্ষা করতে পারিনি। আমাদের এই ব্যর্থতা ঢাকবার কোন সুযোগ নেই। দেশে কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে নেই। যারা পরাজিত শক্তি তারা কিন্তু থেমে নেই। তারা রাজপথের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র ছিন্ন করার সবচাইতে বড় উপায় হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং গোটা দেশের মানুষকে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ করা। জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, দেশের টাকা বিদেশে যায়। শত শত কোটি নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে যায়। কিন্তু ব্যাংক থেকে পাঁচ লাখ টাকা তুলতে গেলে নানা কৈফিয়ত দিতে হয়। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ধরা হয়, কিন্তু রাঘব বোয়ালরা পার পেয়ে যায়। আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেন, যারা ইভিএমের বিরোধিতা করে তাদের জ্ঞানের অভাব রয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এরকম পদ্ধতি ভোটার বাড়াচ্ছে। সামনে ইভিএম সর্বাত্মক ছড়িয়ে দিয়ে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করতে হবে। সাবেক হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন বলেন, জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’। কিন্তু জিয়া পরিবারের জন্য শেষ পর্যন্ত মানি ইজ প্রবলেম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ অর্থলোভী জিয়া পরিবারের অর্থের ক্ষুধার লোভে বিএনপি পরিবার এখন পুড়ে মরছে। কারণ এই পরিবারটি একটি খুনী পরিবার। সৈয়দা রুবিনা আক্তার বলেন, করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। অর্থনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ এখন ইমার্জিং টাইগারে পরিণত হয়েছে। বেগম শবনম জাহান বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোটের জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস ও নেতিবাচক রাজনীতি দেশের জনগণ আর কোনদিন দেখতে চায় না।
×