ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আফগান-তালেবান শান্তি আলোচনা অব্যাহত

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

আফগান-তালেবান শান্তি আলোচনা অব্যাহত

কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান ও আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি আলোচনা ফের শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফা আলোচনায় অংশ নিতে প্রধান মধ্যস্থকারীরা এখন দোহার পথে রয়েছেন। এক সপ্তাহ হলো মধ্যস্থকারীরা আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে এক ফলপ্রসূ সমাধানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিনিধি দল আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে সমোঝতার পথ সুগম করতে দফায় দফায় কৌশলগত দিক নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগের বৈঠকে আফগান সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং তালেবান নেতারা অনুপস্থিত থাকায় শান্তি আলোচনা এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। অন্যদিকে তালেবানের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায়, দোহায় দ্বিতীয় দফা বৈঠকের প্রধান মধ্যস্থতাকারী মোল্লা আব্দুল হাকিম এবং কাতারে তালেবান কর্তৃপক্ষের প্রধান মোল্লা বারাদার এখনও আফগানিস্তানে ফেরেননি। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন কূটনীতিক ও সেনাবাহিনীর নেতারা কয়েক দফা পাকিস্তান সফর করেছেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি এ্যাফেয়ার্সের নিরাপত্তা বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি ডেভিড হেলভের মধ্যে বৈঠকে উভয়পক্ষই আফগানিস্তানে সহিংসতা বন্ধে জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান করে। ইসলামাবাদ বস্তুত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে চলছে এবং ইমরান খানের সরকার শান্তি আলোচনার মাধ্যমে আফগানিস্তানকে সহযোগিতা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ইতোমধ্যে ইসলামাবাদ ও কাবুলে স্বল্প বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কূটনীতিক জালমে খলিলজাদ ও তার পরিষদবর্গ দোহায় পৌঁছেছেন। আফগানিস্তানের এক কর্মকর্তা জানান, শান্তি আলোচনাকে এগিয়ে নিতে কমিটির সদস্যরা এখন কাতারে অবস্থান করছেন এবং অন্যরা আসছেন। তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়েম বলেন, ‘আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের তরফ থেকে কোন দেরি হবে না। এছাড়া নতুন কোন প্রস্তাব আমাদের কাছে এখনও আসেনি।’ দোহায় শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, দুই পক্ষ থেকেই সহিংসতা বন্ধ করে আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনার জন্য তাড়া দিচ্ছে। ২০১১ সাল থেকেই শান্তি চুক্তিতে আসার ব্যাপারে দোহায় বৈঠক করে আসছেন তালেবান নেতারা। ২০১৩ সালে দোহায় তালেবানের একটি কার্যালয়ও খোলা হয়। যদিও পরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তালেবান নেতারা ঘোষণা দেন, শান্তি আনার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তারা। কিন্তু শুরু থেকেই আফগান সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে অনীহা জানিয়ে আসছিলেন তারা। আফগান সরকারকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের হাতের পুতুল’ বলেও অভিহিত করেন তালেবান নেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে আফগানিস্তানে সহিংসতা বন্ধের ঘোষণা দেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা আফগানিস্তান থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার সেনা সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন। -আলজাজিরা অবলম্বনে।
×