ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুর পৌর নির্বাচন

ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ৯ জানুয়ারি ২০২১

ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর ॥ সারাদেশে পৌর নির্বাচনকে ঘিরে দামাঢোল বাজছে। এর মাঝে আসন্ন তৃতীয় দফা পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের মেয়র, কাউন্সিলররা প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী নির্বাচনে মেয়র হিসেবে কাকে ভোট দেবেন ভোটারদের মাঝে এলাকায় হাটে বাজারে এটিই প্রধান আলোচনা চলছে। চলছে কার আমলে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা হয়েছে। হাটে, বাজারে চায়ের স্টল ও দোকানপাটে চলছে পৌর নির্বাচনে ভোটারদের চুলচেড়া বিশ্লেষণ। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তাহের জানান, রামগঞ্জ পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৩৬ হাজার ৪১৯ জন। মোট ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে মেয়র পদে প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ৪ জন, কাউন্সিলর পদে ৬০ জন ও সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী রয়েছেন। চারজন মেয়র প্রার্থীর অপর দুইজন হচ্ছেন জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ মহসিন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ জাকির হোসেন দেওয়ান। এর মধ্যে ভোটাররা জানান, মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আ’লীগ মনোনীত পুনঃমেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের প্রচারে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। অপরদিকে এক সময়ের বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত রামগঞ্জ বিএনপি রাজনৈতিক কার্যক্রম অনেকটা জিমিয়ে পড়েছে। বিএনপি সরকার আমলের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে রামগঞ্জে বিএনপি দুভাগে বিভক্ত হয়ে এক রকম নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। যার ফলে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু প্রচারে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন বলে এলাকার ভোটাররা জানিয়েছেন। ভোটাররা আরও জানান, বিএনপি মনোনীত (ধানের শীষ) প্রার্থীর প্রচারে চোখে পড়ার মতো নয়। তবে বিএনপি মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু বলেছেন, রামগঞ্জ হচ্ছে বিএনপির ঘাঁটি। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ক্ষেত্র সৃষ্টি করলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশা করছেন। এজন্য নির্বাচন কমিশন ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। ভোটাররা আরও জানান, গত পাঁচ বছরে যার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন হয়েছে। মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। ওই ধরনের প্রার্থীকে আসন্ন নির্বাচনে ভোট দিয়ে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করবেন। সে হিসাবে নৌকা প্রতীক প্রার্থী আ’লীগ মনোনীত আবুল খায়ের পাটওয়ারীর পাল্লা ভারি বলে ভোটাররা মনে করেন। অপরদিকে গত পাঁচ বছরে তিনি অনেক উন্নয়ন করেছেন। ভোটাররা জানান, ক্লিন ইমেজের লোক মেয়র হিসেবে তার বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী আগামীতে মেয়র নির্বাচিত হয়ে তাঁর অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করবেন আমরা সবাই আশা করছি। তবে সবাইকে খুশি করা তো কঠিন কাজ। সেটি হয়নি। এদিকে আ’লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, আমি এলাকার উন্নয়ন করেছি, মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করেছি। নিজে কোন কাজে অনিয়ম করেনি। সেজন্য ভোটাররা বিপুল ভোটে আমাকে নির্বাচিত করবেন।
×