ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

আটিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে মির্জাপুরে সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

আটিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে মির্জাপুরে সড়ক অবরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর ॥ মির্জাপুর উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চলের কমপক্ষে দশগ্রামবাসী আটিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারটার দিকে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নে গোড়াই-সখীপুর সড়কের মুনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচী পালন করে। এতে অত্র অঞ্চলের কমপক্ষে দশগ্রামের কয়েক হাজার নারী পুরুষ ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। সড়ক অবরোধের কারণে গোড়াই-সখীপুর সড়কে প্রায় আধাঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলার কয়েকটি উপজেলার ভূমি ১৯২০ সালে সেটেলমেন্ট রেকর্ডভুক্ত হওয়ার পর তৎকালীন সরকার ১৯২৭-২৮ সালে বন সংরক্ষণ আইন (গেজেট) জারি করে মির্জাপুরসহ আশপাশের কয়েকটি অঞ্চলের জায়গা বন বিভাগের কাছে ন্যস্ত করে। এছাড়া ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকার আটিয়া বন অধ্যাদেশ জারি করে। এতে কৃষকের বসতবাড়িসহ সাধারণ মানুষের ১৯৬২ সালের রেকর্ডভুক্ত জমিও এই অধ্যাদেশের আওতায় আনা হয়। এই অধ্যাদেশের আওতায় মির্জাপুর উপজেলাসহ আশে পাশের কয়েকটি উপজেলায় বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার একর জমি রয়েছে। বেলা এগারটার দিকে পাহাড়ী অঞ্চল বাঁশতেল ইউনিয়নের গায়রাবেতিল, নয়াপাড়া, বালিয়াজান, মোতারচালা, আজগানা ইউনিয়নের তেলিনা, চিতেশ্বরী ও বেলতৈলসহ কয়েকটি গ্রামের দুই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ গোড়াই-সখীপুর সড়কের মুনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন কর্মসূচী শুরু করেন। বেলা সাড়ে এগারটা থেকে সাড়ে বারটা পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচী। ঘন্টা ব্যাপী চলা এই কর্মসূচীর কারণে গোড়াই-সখীপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় এক সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান জহিরুল হক, বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহারুল ইসলাম, বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু ও শামসুল আলম, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা শাখার সহ সভাপতি আদিবাসী নেতা সুনীল সারথি বর্মণ, গায়রাবেতিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন, শমসের আলী মাষ্টার প্রমুখ। বক্তাগণ আটিয়া বন অধ্যাদেশ দ্রুত বাতিলের দাবী জানান। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা বন কর্মকর্তা ড. জহিরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের আটিয়া বন অধ্যাদেশ আওতার বাইরে কোন ঘর বাড়ি উচ্ছেদের নোটিস দেয়া হয়নি। তবে এই অধ্যাদেশের আওতাভূক্ত সব জমিই বন বিভাগের বলে তিনি জানান।

আরো পড়ুন  

×