ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ফাখরিজাদেহকে হত্যা করেছে ইসরাইল, পশ্চিমা বিশ্ব চুপ কেন ॥ জারিফ

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ৪ ডিসেম্বর ২০২০

ফাখরিজাদেহকে হত্যা করেছে ইসরাইল, পশ্চিমা বিশ্ব চুপ কেন ॥ জারিফ

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইরানের বিশিষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যার জন্য সরাসরি ইসরাইলকে দায়ী করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ প্রশ্ন তুলেছেন, এরপরও পশ্চিমা বিশ্ব চুপ কেন? বৃহস্পতিবার রোমে একটি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সভায় এ প্রশ্ন তোলেন তিনি। খবর ডয়েচে ভেলের। ইসরাইল ইরানে সন্ত্রাস করছে অভিযোগ করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, ইরানে সন্ত্রাস চালাচ্ছে ইসরাইল। পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার ঘটনার পেছনেও তারাই রয়েছে। অথচ পৃথিবীর সব দেশ চুপ। ইসরাইলের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো কখনও কোনো কথা বলে না। পশ্চিমা বিশ্ব ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূমিকার সমালোচনা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরাইল বিনা বাধায় একের পর এক সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোকে স্থির করতে হবে ইসরাইলের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তারা ইরানের পাশে থাকবে কিনা। ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাত ও বাহরাইনের চুক্তির নিন্দা জানিয়ে জারিফ বলেন, সম্প্রতি আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়ে জারিফ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা না তুললে তারা কোনোভাবেই মাথা নত করবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর জো বাইডেন ক্ষমতায় এলে ইরান নীতি বদলাতে পারেন বলে মনে করছেন বহু বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে জাভেদ জারিফের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কথা শুনতেই তারা রাজি নয়। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে। প্রসঙ্গত, ইরানের উদ্ভাবন বিষয়ক সংস্থার চেয়ারম্যান মোহসেন ফাখরিজাদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় তেহরানে এক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। বিবিসি জানিয়েছে, দামাভান্দ এলাকার আবজার্দে ইরানি এ পরমাণু বিজ্ঞানীর গাড়ি লক্ষ্য করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলার পর আহত মহসেনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ইরানের চার পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ইরান শুরু থেকেই এসব হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলকে দায়ী করে আসছে। পরমাণু বিজ্ঞানীর হত্যার পর ইরানের সংসদ একটি আইন তৈরি করেছে। যাতে দেশে ইউরেনিয়াম মজুদ বহু গুণ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
×