ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিড়ি শ্রমিকদের মহা সমাবেশ

প্রকাশিত: ১৭:৪২, ১৯ অক্টোবর ২০২০

বিড়ি শ্রমিকদের মহা সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের দাবির প্রতি একাত্বতা ঘোষণা করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমত্রী এ্যাডভোকেট সামসুল হক টুকু এমপি বলেছেন, “বিড়ি শ্রমিকদের আগের অবস্থা আর এখনকার অবস্থা অনেক পার্থক্য। যারা সেবা করেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিকাশ ঘটানোর প্রচেষ্টা করেন, সংসারের হাল পরিচালনা করেন; আজ বিড়ি শ্রমিকের সেই মা বোনরা চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছিলেন, “বিড়ির সাথে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক নিয়োজিত। প্রধানমত্রী তাদের অবস্থা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করে বলেছিলেন, “বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। বিড়িতে কর বৃদ্ধি না করে সিগারেটে বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা বিড়ি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবীর সাথে এক হাজার বার একমত। দূর্নীতিবাজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি; তাই তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে মামলা হয়। কিন্তু আপনারা তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন। তাদের ডু’য়েল রোল চলতে দেওয়া যাবে না। সিগারেট কোম্পানির ধান্দাবাজি করতে দেব না। সিগারেট কোম্পানি বিড়ির বাজার দখল করে নিয়ে নিয়েছে। এ পথ রুদ্ধ করতে হবে। সিগারেটের কর এবং বিড়ির করের দ্বৈতনীতি থাকা উচিত নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। শ্রমিকদের বঞ্চিত না করে মজুরি বৃদ্ধি করার জন্য বিড়ি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সোমবার (১৯ অক্টোবর) পাবনার ঐতিহ্যবাহী ‘দোয়েল কমিউনিটি সেন্টারে’ পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের উদ্যোগে মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। পাবনা জেলা মজনুর ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ হারিক হোসেনের সভাপতিতে¦ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারোফ হোসেন। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালী, ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমীন উদ্দিন বিএসসি, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, পাবনা জেলা বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাসেল, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের উপদেষ্টা মুজিবর রহমান। এছাড়া কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা, টাঙ্গাইল, রংপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিড়ি শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গোলাম হাসনাত লাভলু, প্রদীপ সাহা, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, দুলাল হোসেন, লুৎফর রহমান, রূপালি বেবি, চুমকি খাতুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে হাজার হাজার বিড়ি শ্রমিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারোফ হোসেন বলেন, বিকল্প কাজ ছাড়া বিড়ি শিল্প বন্ধ করে লক্ষ লক্ষ মা বোন শ্রমিকদের বেকার করা যাবে না। বিড়ি শিল্প বন্ধ হোক আপত্তি নেই; কিন্তু তাদের বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালী বলেন, ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ঠিকই। কিন্তু বিড়ি আগে বন্ধ করে দিয়ে সিগারেটের প্রতি কেন আনুকূল্য দেখানো হচ্ছে? বিড়িতে বেশি ট্যাক্স বৃদ্ধি কওে সিগারেটে কেন কম ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হচ্ছে? এ দ্বৈতনীতি আমরা মানি না। তিনি বলেন, যতদিন সিগারেট থাকবে; ততদি বিড়িও থাকবে। এসময় তিনি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে ধার্যকৃত অতিরিক্ত ৪ টাকা প্যাকেট মূল্যস্তর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বিড়ি শ্রমিকদের সপ্তাহে ৬ দিন কাজের ব্যবস্থা, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি, বিড়ির উপর অর্পিত ১০% অগ্রিম আয় কর প্রত্যাহার, বঙ্গবন্ধুর চালুকৃত বিড়িকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণাসহ ৬ দফা দাবি জানান। আবদুর রহমান বলেন, এনবিআরের কারণে বিড়ি শিল্প ধ্বংস হচ্ছে। অমাদের কোন কথায় কর্ণপাত করছেন না। আগামী এক মাসের মধ্যে আমাদের দাবী না মানলে আমরা অবরোধ করবো। সারা দেশের যানবাহন
×