ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গ্রেফতারে ছাত্রলীগের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম

ধর্ষনের ঘটনায় ভিপি নূরসহ সকল আসামী ঢাবিতে অবাঞ্চিত

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

ধর্ষনের ঘটনায় ভিপি নূরসহ সকল আসামী ঢাবিতে অবাঞ্চিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের তরিৎ পদক্ষেপে সিলেট এমসি কলেজে, খাগড়াছড়ি ও সাভারের ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছে। তবে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষণে অভিযুক্তদের প্রকাশ্য চলাফেরা নিয়ে। ধর্ষণের শিকার রাজনৈতিক সহকর্মী ও ঢাবি ছাত্রীর মামলার পর এস সপ্তাহ চলে গেলেও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ সকল আসামীই এখনো ধরাছোয়ার বাইরে। ঘটনায় ক্ষুদ্ধ নুরসহ সকল আসামীকে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে ঢাবি ছাত্রলীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একই সঙ্গে সাম্প্রতির ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত সকল আসামীকে গ্রেফতারে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন শিক্ষরাও। ঢাবির ঘটনায় ক্ষুদ্ধ শিক্ষক ও ছাত্র নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানেও যদি বিচারহীনতার ঘটনা ঘটে তাহলে সংকট আরো বাড়বে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মন্তব্য করে দ্রুত আপরাধীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করেছেন তারা। তারা একই সঙ্গে বলেছেন, ধর্ষকের কোন দল নেই। যে দলেরই হোক কোন ছাড় নেই। বিচারের জন্য ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিরও সোচ্চার হওয়ার দাবি উঠেছে। সাম্প্রতিক আলোচিত ধর্ষনের ঘটনার প্রথম শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। যিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাদের রাজনৈদিক সহকর্মী ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের দারা। গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের ¯œাতকোত্তর শ্রেণির ওই ছাত্রী সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামী করে নুরুল হক নূর সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। হাসান আল মামুন ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন বলে তাদেরই সংগঠনের এক কর্মীর দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়। মামলায় অন্য আসামীরা হলেন দুই যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ এবং সাইফুল ইসলাম, ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা ও কর্মী ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি। এরপর সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী রাজধানীর কোতয়ালী থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই ছয় জনকেই আসামি করা হয়। দ্বিতীয় মামলায় পরস্পর যোগসাজশে অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা এবং হেয়প্রতিপন্ন করতে ডিজিটাল মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছয়জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের হয়েছে। মামলায় চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে আটটার দিকে কোতোয়ালি থানাধীন সদরঘাট হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ করা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। কিন্তু ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। বরং প্রকাশ্যে সরকার বিরোধী উগ্রবাদী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন আসামীরা। একের পর এক তথ্য প্রমান বেড়িয়ে পরলেও আটকের পরিবর্তে মামলার বাদী ছাত্রীর বিরুদ্ধে বিকৃত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার প্রকাশ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সামনে এসে অপরাধীদের বিচারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চেয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষের কাছেও দিয়েছেন লিখিত আবেদন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্ধ ছাত্রলীগ নুরসহ সকল আসামীকে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীসহ সিলেট এমসি কলেজে, খাগড়াছড়ি ও সাভারের ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবিতে ছাত্রলীগ বিক্ষোভ সমাবেেেশর আয়োজন করে। সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বক্তব্য রাখেন। এতে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আজকে আমার বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার মিডিয়ার সামনে এসে বলছে, তার নিজ সংগঠনের ভাইয়েরা তাকে ধর্ষণ করেছে। ফেসবুকে লাইভে এসে আমার বোনকে পতিতা বলে প্রচারের ভয় দেখিয়েছে। মামলার পর তারা ধর্ষকের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে আবার বিক্ষোভ করেছে। কত বড় স্পর্ধা এদের! ছাত্রলীগ তাদের ছেড়ে দেবে না। ফেসবুকে অপপ্রচার না করে সাহস থাকলে সামনে আসেন। ধর্ষিতার পক্ষ না নিয়ে আসামীর পক্ষে অবস্থান নেয়া কথিত সুশীল সমাজ ও কিছু মিডিয়ার সমালোচনা করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আামাদের মিডিয়া, তথাকথিত শিক্ষক, সুশীল সমাজ সিলেটে এমসি কলেজে ধর্ষক কে এটা দেখে, বার বার ছাত্রলীগকে দেষারোপ করছে। ধর্ষকের তো কোনো দল নেই। সে যেই হোক, সে নিকৃষ্টতম প্রাণী, সে কুলাঙ্গার। তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। ড. কামাল হোসেন ধর্ষকদের বলে তাদের আইনী সহায়তা দেবেন। এ ধরণের লোকদের যারা আইনী সহায়তা দেয়, তাদরেকে বয়কট করতে হবে। এই নুরু গঙরা, ড. কামাল হোসেনরা রাষ্ট্রের শত্রু। তাদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নাই। তাদেরকে বয়কটের এখন সময় এসেছে। আমরা এই ক্যাম্পাসে তাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। নূর ডাকসুর যত ভিপি আছে সকলের মর্যাদাহানি করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুজব বাহিনী দ্বারা তিনি ডাকসুর ভিপি হয়েছিলেন। কিন্তু আজকে দেখা যাচ্ছে এই নাটকবাজ নূর সবাইকে ভুল বুঝিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। নুরু গংরা শিবিরদের নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ গঠন করেছে, কিসের ছাত্র অধিকার পরিষদ? অপনারা তো এখন দেখছি ধর্ষক অধিকার পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে জয় বলেন, সারা বাংলাদেশের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বলতে চাই, যেখানেই ধর্ষণকারী পাবেন, তাদের আইনশৃঙাখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। যেখানেই জামায়াত-শিবির পাওয়া যবে, সেখানে আমরা তাদের প্রতিহত করব। যত ধরনের ধর্ষক আছে, তাদের আমরা বয়কট করছি। তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে গণ ধোলাই দিয়ে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী ব বাহিনীর প্রতি আমারা বলতে চাই, অবিলম্বে নুরু গংদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনুন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ইতিহাসে প্রথমবারর মতো এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষকের পক্ষে তারা বিক্ষোভ করেছে। তারা ধর্ষকের বিচারকে বানচাল করতে আন্দোলনে নেমেছ, রাজপথে মোকাবেলার হুমকি দিয়েছে। তারা এটাকে সরকার ও ছাত্রলীগের ষড়যন্ত্র বলছে, অথচ এই মামলা করেছে তাদেরই সংগঠনের কর্মী। যেই কর্মী তাদের লড়াই-আন্দোলনে রান্না করে খাইয়েছে। সেই ছাত্রী বোনকে তারা ধর্ষণ করেছে। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথে থাকবে। তিনি বলেন, আমারা দেখতে পেয়েছি সিলেটের এমসি কলেজ, সাভারের নীলা, খাগড়াছড়ির সেই মেয়েটির ঘটনা। সিলেটের এমসি কলেজের ধর্ষণের ঘটনায় সবার আগে কে আন্দোলন করেছে? সবার আগে ছাত্রলীগ সেখানে দুর্ববার আন্দোলন গড়ে তুলেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ধর্ষকদের বিচার না হবে, তারা কিন্তু আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, দেশনেত্রী শেখ হাসিনা যখন উন্নয়নের মাধ্যমে, নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক তখন দেখছি ধর্ষণের এই ম্যাগাসিরিয়াল। আমি হতবাক, যখন একটি ধর্ষকের বিচার হবে, তখন পর পর কীভাবে এত ধর্ষণের ঘঠনা ঘটছে। আমার তো মনে হয় নুরুরা নিজেরা বাঁচার তাগিদে তারা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে দায়ী করতে চায়। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরকে লক্ষ্য করে সনজিত বলেন, আপনি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আপনি বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছেন, আমি নাকি এই ঘটনার সাথে লিপ্ত। আপনি একটা পাগল, আপনি মানসিক বিকারগ্রস্ত। আপনার মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। ওই ছাত্রী শুধু ময়মনসিংহের কথা বলে নয়, একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ধর্ষণের বিচারের জন্য যদি আমি মামলা করতে পারতাম, আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও সিলেট এমসি কলেজের ঘটনায় মিডিয়ার কাভারেজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, গণমাধ্যমের কর্মীদের আমি বলতে চাই, আপনারা সিলেক্টিভ নৈতিকতা না দেখিয়ে , আপনার নৈর্ব্যত্তিক নৈতিকতা দেখান। সিলেট এমসি কলেজের ঘটনা পত্রিকার লিড হবে, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা নি¤œভাবে উপস্থাপন হবে, তা কেন? সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও ছাত্রলীগ নেত্রী তিলোত্তম শিকদার বলেন, একজন ধর্ষকের পরিচয় সে ধর্ষক। তার কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী ধর্ষণের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এটা অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে। যখন নূরদের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ তখন সুশীলদের প্রতিবাদের ভাষা নমনীয় হয়ে যায়। সুশীলরা আবার ছাত্রলীগের বেলায় জেগে ওঠে। এমসি কলেজে সুশীলরা কিন্তু ধর্ষক খুঁজে না, খুঁজে ছাত্রলীগ। এদিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে খাগড়াছড়িতে এক প্রতিবন্ধী পাহাড়ি নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, সিলেট এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে যাওয়া নারীকে ধর্ষণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী নিয়ে মানববন্ধন করেছেন ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। এসময় তারা ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের দাবি জানান। এদিকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (সিনিয়র) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, আমি ক্ষুদ্ধ হতাশ। আমার একজন ছাত্রী বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এটা কষ্টের। বিচারের জন্য ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে শিক্ষকরা নিশ্চই সোচ্চার হবেন। আমি শিক্ষক সমিতির সঙ্গে কথা বলবো। এদিকে ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনাকে উদ্বেগজনক অভিহিত করে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়ে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড, কাজী শহিদুল্লাহ বলেছেন, ঢাবিতে এমন ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রতিটি বিশ^বিদ্যালয়ের মতো ঢাবিতেও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল গঠন করা আছে। যেহেতু যে ভুক্তভোগী ছাত্রী সেও ঢাবির শিক্ষার্থী, আবার যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাও ঢাবির। তাই বিশ^বিদ্যালয়ের অতিদ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমার আহবান, এটা অত্যন্ত জরুরী এ ধরনের ঘটনায় দ্রুত শক্ত পদক্ষেপ নেয়া। আমি ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে এ আ্হবান জানাচ্ছি। তবে অভিযোগ উঠেছে, কদিন ধরে ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চললেও এখন পর্যন্ত ঢাবি কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি ঢাবিতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল থাকলেও সেই সেল এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
×