ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবতে হবে ॥ লাভরভ

প্রকাশিত: ১২:২৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবতে হবে ॥ লাভরভ

অনলাইন ডেস্ক ॥ আমেরিকানদের কেবল তাদের আসন্ন নির্বাচন নিয়েই ভাবা উচিত না, বরং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। আল-অ্যারাবিয়াহকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, আমার প্রত্যাশা– আমেরিকানরা বুঝতে পারবেন যে তাদের কেবল নির্বাচন নিয়ে ভাবলেই চলবে না, এ অঞ্চলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবতে হবে। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোর একটি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। এদিকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর চীন ও রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনবে ইরান। ইউরোপ বা অন্য কোনো দেশ থেকে অস্ত্র কিনবে না। এক ঘোষণায় এমনটাই জানিয়েছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। তিনি বলেন, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর কেউ তেহরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি আটকাতে পারবে না। তেহরান তার প্রয়োজনীয় অস্ত্র রাশিয়া ও চীন থেকেই কিনবে। শনিবার রাতে ইরানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন জারিফ। ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে জাতিসংঘের আরোপিত একটি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আগামী ১৮ অক্টোবর শেষ হতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশের সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তির আওতায় এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের ওপর সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে চাপ প্রয়োগ করলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। বিশেষ করে চুক্তির অন্যতম অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, একতরফাভাবে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এই চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটনের কিছু বলা উচিত না। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা অবসানের পর ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ইউরোপের তিন দেশ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিও। এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, (নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর) যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে সেসব দেশের কাছ থেকে অস্ত্র কিনেই আমরা প্রয়োজন মেটাতে পারব, যেমন রাশিয়া ও চীন।... এখন আমরা নিজেরাই অস্ত্র রফতানি করতে সক্ষম।
×