ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত: ১৫:২৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

এবার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন নেতানিয়াহু

অনলাইন ডেস্ক ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার ইতালীয় সংসদ সদস্য পাওলো গ্রিমোলদি এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য নেতানিয়াহুর নাম প্রস্তাব করেন। সম্প্রতি বিবাদমান ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে চুক্তির আওতায় আনতে মধ্যস্থতা করায় ট্রাম্পকে ২০২১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন নরওয়ে পার্লামেন্টের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং-জিজেডে। আর আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চুক্তি করায় নেতনিয়াহুকে মনোনীত করেছেন গ্রিমোলদি। টুইটারে লিখেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহু যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, ইতালির অ্যান্টি-মাইগ্রেন্ট লিগ পার্টির সদস্য গ্রিমোলদি ইসরায়েলিদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে পরিচিত। তিনি বহুবার ইসরায়েল সফরে গিয়েছেন। অবশ্য নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার কখনও সাক্ষাৎ হয়নি। ইতালির এই আইনপ্রণেতা টুইটারে আরও লিখেছেন, নোবেল কমিটি তার প্রস্তাব পেয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন তিনি। প্রস্তাবে গ্রিমোলদি দাবি করেছেন, আমিরাত-বাহরাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তি ছাড়াও সৌদি আরবের সঙ্গে বন্ধন সুদৃঢ় করেছেন নেতানিয়াহু। এজন্য শান্তিতে তার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি শুরু হয় মূলত পূর্ববর্তী বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে। তখন মনোনয়ন দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত ব্যক্তিদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠায় নোবেল কমিটি। এদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমপি, মন্ত্রী), বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, ইন্টারন্যাশনাল কোর্টস অব ল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, আইন ও ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক; শান্তি গবেষণা ইন্সটিটিউটের নেতা, পররাষ্ট্রবিষয়ক ইন্সটিটিউট; শান্তিতে নোবেলজয়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান; নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির সাবেক ও বর্তমান সদস্য এবং নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউটের সাবেক উপদেষ্টারা। নোবেলপ্রাইজ.ওআরজি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, যোগ্য ব্যক্তিদের দ্বারা মনোনীতদের মধ্য থেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই এবং বিজয়ীর নাম ঘোষণার কাজটি করে থাকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী বাছাইয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। আর এ কমিটিকে নিয়োগ দেয় নরওয়ের পার্লামেন্ট স্টর্টিং। সেপ্টেম্বরে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর পরের বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ থাকে। তবে কেউ নিজেকে মনোনয়ন দিতে পারেন না। এ সময় পার হয়ে যাওয়ার পর যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তাদেরকে পরের বছরের জন্য বিবেচনা করা হয়। যারা নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন সেগুলো থেকে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। নোবেল কমিটি প্রার্থীদের কাজগুলো মূল্যায়ন করে ওই সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে। মার্চ থেকে আগস্টে উপদেষ্টাদের মত নেওয়া হয়। সংক্ষিপ্ত তালিকাটি কমিটির স্থায়ী উপদেষ্টারা পুনরায় মূল্যায়ন করেন।
×