ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা বিএনপির জরুরি কাজ- ফখরুল

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা বিএনপির জরুরি কাজ- ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এখন গৃহঅন্তরীণ বলে মন্তব্য করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁকে মুক্ত করা এখন বিএনপির এক নম্বর জরুরি কাজ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনআরসি)’ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গৃহঅন্তরীণ হয়ে থাকা একটা বড় সঙ্কট। তিনি দীর্ঘকাল গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাই তাঁকে গৃহঅন্তরীণ থেকে বের করে আনাটা সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। আর ২ নম্বর জরুরি প্রয়োজন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা। ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম, সমাজকে মুক্ত করার যে সংগ্রাম সেই সংগ্রামেও আমরা জয়ী হবো যদি ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন সৃষ্টি করা যায়। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সেই গণআন্দোলন সৃষ্টি করতে সক্ষম হবো। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন এবং ২০ দলসহ ফ্রন্টকে নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। শুধু মাত্র রাজনৈতিক দলগুলো নয়, জনগনের মধ্যেও সেই ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, এদেশের মানুষ সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে। তারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছে, তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়ী হয়েছে, তারা নিজেদের ভাষার অধিকার ফিরিয়ে আনতে জয়ী হয়েছে, অতীতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জয়ী হয়েছে। সাবেক সাংসদ সদস্য ও বিএনআরসি‘র পরিচালক জহিরউদ্দিন স্বপনের পরিচালনায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান প্রমুখ। ড. মোশাররফ বলেন, আজকে সারা পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিকে ধবংস করে দিয়ে একটি গোষ্ঠির স্বার্থে কি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, কি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, কি সামাজিক ক্ষেত্রে এটা চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে বৈষম্য, মানুষের মানবাধিকার লংঘন, ভোটের অধিকার হরণ, ব্যক্তির স্বাধীনতা সব হরণ করা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগন ও সকল গণতান্ত্রিক দলের ‘ইস্পাত কঠিন ঐক্য’ প্রয়োজন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে দেশে কোন কিছুই নেই। মানুষের যে মৌলিক অধিকার তাকে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। অনির্দিষ্টাকালের জন্য ক্ষমতায় থাকতে তারা ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধন করেছে, যা চতুর্থ সংশোধনীর চেয়েও খারাপ বলব আমি। জনগনের ক্ষমতার উতস্যকে তারা এই সংশোধনীর মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করলে গণতন্ত্রের মুক্তি আসবে। কিন্তু সেই মুক্তি নিশ্চিত করতে হলে আমাদেরকে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। কি করে আমরা জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে রাস্তায় নামতে পারবো তা ঠিক করে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন ছাড়া আমাদের অন্য কোনো বিকল্প আছে বলে আমরা মনে করি না।
×