ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর আরও এক খুনীকে শাস্তি দেব

প্রকাশিত: ২২:০৪, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর আরও এক খুনীকে শাস্তি দেব

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ মুজিববর্ষের মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পলাতক পাঁচ খুনীর অন্তত একজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে বলেই বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আমরা শাস্তি দিতে পেরেছি। মুজিববর্ষের মধ্যে আরও এক খুনীকে দেশে এনে শাস্তির মুখোমুখি করব, এটা জনগণেরও প্রত্যাশা। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জনতার প্রত্যাশা আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পলাতক খুনী রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে দেশে আনার প্রক্রিয়া ‘বেশ এগিয়েছে’ দাবি করে তিনি বলেন, পলাতক পাঁচ খুনীর মধ্যে দু’জনের ঠিকানা আমরা জানি। এটার ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। কিছুটা অগ্রসর হয়েছি। আগে তো কথাই শুনতে চায়নি, এখন কথা শুনছে। সংগঠনের সভাপতি এমএ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান খান, নুরুল আমিন রুহুল এমপি, কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মুক্তিযাদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, ইউএস আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেক খান, জাতীয় মুক্তিযাদ্ধা সমন্বয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন, জনতার প্রত্যাশার মশিউর রহমান ও রোকন উদ্দিন পাঠান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আমি (পররাষ্ট্র), স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী একসঙ্গে কাজ করছি। সরকারীভাবে এসব প্রচেষ্টার পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতাও আমাদের লাগবে। আমরা যদি ১৬ ডিসেম্বরের আগে লাখ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকারের কাছে দিতে পারি, তাহলে খুনী রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার পথ আরও সুগম হবে। দেশবাসী, আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলব তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটা সিগনেচার ক্যাম্পেন (স্বাক্ষর অভিযান) তৈরি করুন। যেখানে লাখ লাখ লোকের সিগনেচার থাকবে। সেটি দেখিয়ে বলতে পারব যে আমাদের এই খুনীকে ফিরিয়ে দিন। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের মানুষকে বাঁচাতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন যেখান থেকে পাওয়া যায় সেখান থেকে আনা হবে। আর সেজন্য আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে ছিলেন। কারণ, তিনি বাঙালীর অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেছেন। আর বাঙালী জাতির কিছু কুলাঙ্গার তাঁকে ১৫ আগস্টে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করল। এটা আমাদের জাতির জীবনে একটি কলঙ্ক। তাই আমাদের প্রত্যাশা, এই মুজিববর্ষেই বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে যেন বিচারের সম্মুখীন করতে পারি। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে একটি আদর্শ দেশ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে একটি নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত। আমাদের দূরদর্শী নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীতে আমরা আরও অনেকদূর এগিয়ে যাব। আমাদের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন; যা আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে পূরণ করতে পারব বলে আমাদের বিশ্বাস। কারণ বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশ হতো না। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন, কিন্তু কোন লাভ নেই। সামনে উপনির্বাচন আছে। আপনাদের জনমত যাচাই করে দেখেন। সেখানেও দেখবেন, জনগণ শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকেই চায়। উপনির্বাচনে জনমত যাচাই করে সরকার পরিবর্তনের জন্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বাস্তবে বিএনপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করে, দলীয় কর্মীদের মূল্যায়ন করে না। আর সে কারণে ভোট পায় না, আগামীতেও পাবে না।
×