ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বার্সার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মেসি

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ২৯ আগস্ট ২০২০

বার্সার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মেসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বার্সেলোনা ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত বদলাননি লিওনেল মেসি। কিন্তু বিদায়বেলায় প্রিয় ক্লাবের সঙ্গে তিক্ততা তৈরি করতে চাননা তিনি। তাই ক্লাব ছাড়া নিয়ে বার্সেলোনা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। এমনটাই জানাচ্ছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। মার্কার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রিলিজ ক্লজ নিয়ে ঝামেলা মেটাতে বার্সার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মেসি। তবে বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনড় আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। গত মঙ্গলবার বুরোফ্যাক্স বার্তায় ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান মেসি। এরপরই তোলপাড় শুরু হয় ফুটবল বিশ্বে। মেসির রিলিজ ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো। আর্জেন্টাইন তারকার ইচ্ছে ক্লজ ঝামেলা মিটিয়ে বিনা ফিতে বার্সা ছাড়া। তবে বার্সা সেটি মানতে নারাজ নয়। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে সেরা ফরোয়ার্ডকে বিক্রি করতে চায় কাতালান ক্লাবটি। দুই পক্ষ সমাঝোতায় না গেলে বিষয়টি আদালতে গড়াবে। সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, বার্সেলোনার সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে যেতে চান না মেসি। কোনো বিরোধেও জড়াতে চান না। তাই আলোচনা করেই সমঝোতায় আসতে চান আর্জেন্টাইন তারকা। বার্সার চুক্তি অনুযায়ী, গত ১০ জুনের মধ্যে মেসি তাঁর ইচ্ছের কথা জানালে তিনি বিনা ফিতে ক্লাব ছাড়ার সুযোগ পেতেন। তবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের ২০১৯-২০ মৌসুম করোনার কারণে পেছানোর কারণে এই শর্তের কার্যকারিতা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো যায় বলে জানান মেসির আইনজীবী। সব মিলিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আলোচনায় বসলেও বার্সা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের সঙ্গে দেখা করবেন না মেসি। নিজের আইনজীবী ও বার্সার আইনজীবীদের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে এর সমাধান চান আর্জেন্টাইন তারকা। ২০০১ সালে বার্সেলোনায় নাম লেখান লিওনেল মেসি। দুই দশক পর মেসি-বার্সার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হতে যাচ্ছে। তবে বিদায়টা সুখকর হচ্ছে না। দুই পক্ষের কাদা ছোড়াছুড়ির মধ্যে ভাঙতে চলেছে সম্পর্ক। বিষয়টি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে ফুটবল বোদ্ধাদের মধ্যে। অনেকেই মেসির প্রতি বার্সার আচরণ মেতে নিতে পারছে না। বিষয়টি নিয়ে বার্সার প্রতি ক্ষুব্ধ ক্লাবটির সাবেক স্ট্রাইকার রিস্টো স্টইচকভ। এমন বিচ্ছেদের জন্য বার্সাকে দায়ী করছেন তিনি। বার্সাকে দায়ী করে স্টইচকভ বলেন, ‘আমিও বোর্ডের একজন সদস্য, তাই আমি আমাদের শব্দটা উচ্চারণ করছি। এই বোর্ড সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। মনে হচ্ছে, ওরা যেন ইচ্ছে করে ক্লাবের প্রতিপক্ষ হিসেবে ভক্তদের দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। আমি ক্লাবের হয়ে পরপর লিগ শিরোপা জিতেছি, ক্লাবের ইতিহাসের প্রথম ইউরোপিয়ান কাপটাও জিতেছি, আমি আসলেই জানি না সমর্থকদের ভালোবাসার ঋণ কীভাবে শোধ করব। এই বোর্ড নিজেদের চেহারা দেখায় না। নিজেদের কেনা সাংবাদিকদের দিয়ে আগুনে ঘি ঢালে। ক্লাব হিসেবে এমন পরিস্থিতি দেখা লজ্জাজনক।’ সাবেক এই বার্সা তারকা আরো বলেন, ‘আমি বুঝি না, আমরা যারা খেলোয়াড় হিসেবে বার্সেলোনার হয়ে ইতিহাস গড়েছি, তাদের কেন সব সময় এভাবে পেছনের দরজা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। ওরা মনে করে আমরা ওদের যন্ত্রণা দেব, ওদের সভাপতিত্ব কেড়ে নেব বা অমন কিছু করব। আমি আসলেই জানি না ওদের মাথায় কী চলে।’
×