ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

৮ বিভাগে আটটি ১৫ তলা ক্যান্সার হাসপাতাল হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:১৩, ১৪ আগস্ট ২০২০

৮ বিভাগে আটটি ১৫ তলা ক্যান্সার হাসপাতাল হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশের আটটি বিভাগে আটটি ১৫ তলাবিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এসব হাসপাতালে ক্যান্সার রোগের পাশাপাশি কিডনি ও হার্টের চিকিৎসারও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। ক্যান্সার, কিডনি ও হার্টের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি বিভাগে অন্তত ৩০০ করে শয্যা রাখা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৮ বিভাগীয় পর্যায়ে ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন/ হাসপাতাল), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পরিকল্পনা অনু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গৃহীত বিভাগভিত্তিক ক্যান্সার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সুবিধাসমূহ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের শয্যাগুলোতে আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি ওয়েটিং রুম, চিকিৎসকদের বিশ্রামাগার, এ্যাটেন্ডেন্টসদের জন্য আধুনিক ও উন্নত ব্যবস্থা রাখা হবে। হাসপাতালগুলো নির্মাণের পর দেশের মানুষকে চিকিৎসার জন্য আর বিদেশমুখী হতে হবে না। জাহিদ মালেক বলেন, দেশের চিকিৎসাসেবা বেশ উন্নত হয়েছে। প্রায় সব জটিল রোগের চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। বিদেশে যাওয়া রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গড়ে তোলা হচ্ছে মজবুত অবকাঠামো। সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেক আগেই দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে কোন সমস্যা নেই। প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, করোনা সংক্রমণের গতি দুর্বল করতে সরকারী চেষ্টার ত্রুটি নেই। সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি দেশের প্রত্যেক মানুষকেও করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার হার বাড়লে করোনা সংক্রমণের গতি আরও হ্রাস পাবে।
×