ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যার কোথাও উন্নতি কোথাও অবনতি ॥ নতুন এলাকা প্লাবিত

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ৭ আগস্ট ২০২০

বন্যার কোথাও উন্নতি কোথাও অবনতি ॥ নতুন এলাকা প্লাবিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার চারপাশের নদীর পানি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। ঢাকার পূর্বদিকে নতুন যোগ হওয়া সিটি কর্পোরেশনের কয়েকটি ওয়ার্ড এখন পানিতে তলিয়ে আছে। বাড়িঘরে পানি উঠেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত চার নদীর পানি বাড়বে। ফলে এই সময়ে ঢাকার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা ও বালু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। এসব নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে বইছে। শীতলক্ষ্যার পানি বাড়ায় ফতুল্লার দুটি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশ এলাকার মানুষ প্রায় ২০ দিন ধরে পানিবন্দী মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই অবস্থায় আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত বন্যার উন্নতির কোন আভাস নেই। ফলে তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছেÑঢাকার চারপাশের নদীসমূহের পানি সমতলে স্থিতিশীল থাকতে পারে। ৭ দিনে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পানি বাড়বে। ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ে ডেমরা পয়েন্টে বালু নদীর পানি, ঢাকার মিরপুরের কাছে তুরাগ নদীর পানি এবং রেকাবিবাজার পয়েন্টে ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এসব এলাকা দিয়ে পানি আগ থেকে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তারা জানায়, ঢাকা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করলে আরও এক দফা ব্রহ্মপুত্র, যমুনায় পানি বাড়ার আভাস দেয়া হয়েছে। তারা জানায়, আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত কুড়িগ্রাম, বগুড়া, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এর পর থেকে যমুনা নদীর পানি আবারও বাড়বে। আরও এক দফায় বন্যার অবনতি ঘটবে উত্তরাঞ্চলে। একই সঙ্গে ৬ দিন পানি কমার পর গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকার পানি সমতলে বাড়ার আভাস দেয়া হয়েছে। ক্রমাগত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ঢাকার নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়ছে বাসাবাড়িতে। পূর্বাঞ্চলের বালু নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এরই মধ্যে শহরের পূর্বাঞ্চলে বসবাসরত সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সব কিছুই পানির নিচে। নৌকা দিয়েই যোগাযোগ করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাকে। বাসাবাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় ঘরের মধ্যে মাচা করে রান্নার কাজ সারতে হচ্ছে। আবার অনেক পরিবারের জীবন-জীবিকা নৌকানির্ভর হয়ে পড়েছে। অনেকেই বাড়ি-ঘরও ছেড়েছেন। এক মাসের বেশি সময় ধরে এমন চিত্র বিরাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭০, ৭১, ৭৩ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে। পানিবন্দী হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনভুক্ত এসব এলাকায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। অনেকের উপার্জনের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। হাঁস-মুরগিসহ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকেই। যাতায়াতের কোন ব্যবস্থা না থাকায় শহরের সঙ্গেও তারা যোগাযোগ করতে পারছেন না। এসব এলাকার চারদিকে পানি আর পানি। দীর্ঘদিন ধরেই পানিতে তলিয়ে আছে বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট ও দোকানপাট। এলাকায় বসবাসরত মানুষের বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি বাড়া অব্যাহত থাকার কারণে শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, বালু নদীর তীরবর্তী এলাকা নতুন করে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমা ছাড়িয়ে ইতোমধ্যে ফতুল্লার দুটি ইউনিয়নকে পুরো প্লাবিত করেছে। বালু নদীর পানিও বাড়ছে দ্রুত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী শীতলক্ষ্যা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার, বালু নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বুড়িগঙ্গার পানি এখনও বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানায়, উত্তরাঞ্চলে পানি কমছে। পানি ভাটিতে নেমে এসে রাজধানী ঢাকার বন্যার অবনতি ঘটাচ্ছে। এছাড়া দেশের মধ্যাঞ্চল পেরিয়ে এখন ভাটিতেও বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। তারা জানায়, পানি সাগরে নেমে যাওয়ার পথে উপকূলের অনেক জেলায় এখন নতুন করে পানি বাড়ছে। বিশেষ করে বরিশাল, ভোলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দেশের বন্যা পরিস্থিতি ॥ কালকিনি, মাদারীপুর থেকে সংবাদদাতা জানান উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। আর হু হু করে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। কয়েক দিন ধরেই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সে সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাতে দ্রুত প্লাবিত হতে শুরু করেছে অপেক্ষাকৃত নিচু ও চর এলাকাগুলো। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বহু মৌসুমি ফসলি জমি ও মৎস্য খামার। পালরদী ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর দুইপাশে বহু ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার আলীনগর, কয়ারিয়া, বাশগাড়ী ও সিডি খাঁন ইউনিয়নের কয়েক শ’ বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট। এবারের বন্যায় কৃষক ও মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পৌর এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাটসহ উপজেলার নবগ্রাম, ডাসার, কাজীবাকাই, গোপালপুর, বালিগ্রামসহ বেশকিছু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে নানা দুর্ভোগ। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে গ্রামবাসী। চলাচলের সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চলাচল করছে ওসব এলাকার পানিবন্দী মানুষ। গোপালগঞ্জ ॥ মধুমতি বিলরুট ক্যানেলের হরিদাসপুর পয়েন্টে বন্যার পানি বিপদসীমা স্পর্শ করেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সদর উপজেলার মানিকদাহ ও জালালাবাদ এলাকায় মধুমতি নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে যোগাযোগের ছোট ছোট বহু সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বহু পরিবার আতঙ্কের মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর ও কোটালীপাড়া উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ৫শ’ ৬টি পরিবার বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ ও উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। ছোট-বড় সহস্রাধিক মৎস্যঘেরসহ শাক-সবজি ও তরিতরকারির ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। বরিশাল ॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপ এবং পূর্ণিমার প্রভাবে বরিশালের মেঘনা, নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কীর্তনখোলাসহ জেলার অধিকাংশ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর পানি উপচে নগরীসহ অধিকাংশ জেলা ও উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা, মুলাদীসহ বিভিন্ন উপজেলায় নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে এসব অঞ্চলের নিম্নাঞ্চলের বাসা-বাড়ি, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কীর্তনখোলায় জোয়ারের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নগরীর পলাশপুর, রসুলপুর, চরেরবাড়ি কেডিসি, হাটখোলা, কলাপট্টি, শহরের প্রাণকেন্দ্র সদররোড, প্রেসক্লাব গলি, ব্যাপ্টিস্ট মিশন, আমানতগঞ্জসহ নগরীর নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বাসাবাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার দিনভর হাল্কা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি রয়েছে বরিশালজুড়ে। অপরদিকে জেলার মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা উপজেলার পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনায় জোয়ারের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মেহেন্দিগঞ্জের ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, বাসা-বাড়ি, স্কুল, কলেজে জোয়ারের পানি ঢুকে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে হিজলা ও মুলাদী উপজেলার পুকুর ও ঘেরের মাছসহ কয়েক শ’ হেক্টর ফসলি জমির বীজতলা তলিয়ে গেছে। বরিশাল সদর উপজেলার লামচরি, বাবুগঞ্জের রহমতপুর, মেহেন্দিগঞ্জের শ্রীপুর, মুলাদী ও হিজলা উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নদী ভাঙ্গনে ফসলি জমি, বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট বিলীন হয়ে গেছে। বাগেরহাট ॥ চিতলমারী, কচুয়া ও সদর উপজেলায় প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে চিংড়িঘের ও সবজি ক্ষেত ভেসে যাওয়ার শঙ্কায় চাষিরা উৎকণ্ঠিত। শত শত চাষি এখন ঘের রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিস্থিতির আরও অবনতি দেখা দিলে এসব ঘের রক্ষা করা সম্ভব হবে না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক চিংড়িঘের ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঘেরের পাড়ে নেট ও পাটা দিয়ে ঘের রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে চাষিরা। পাশাপাশি এসব ঘেরের পাড়ের অধিকাংশ জমিতে শসা, করলা, লাউ, কুমড়াসহ ব্যাপক সবজির আবাদ করা হয়েছে। এসব সবজি ক্ষেতে অনেকস্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় হতাশ চাষিরা। ভোলা ॥ পূর্ণিমার জোর প্রভাবে হঠাৎ মেঘনার ফুঁসে ওঠা অতি জোয়ারের পানির আঘাতে ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ ধসে গেছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে ভোলা শহর রক্ষাবাঁধ। এছাড়া দুদিন ধরে ভোলার বিভিন্ন উপজেলার চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ না করলেও উচ্চ জোয়ারে বাঁধের ওপর দিয়ে পানি লোকালয় প্রবেশ করেছে। তবে পাউবো বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, দুপুরের পর থেকে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নাছির মাঝি,তুলাতুলি, ইলিশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাজিকান্দি, ৩ নং ওয়ার্ডের সাজিকান্দি এলাকা দিয়ে অতি জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে উপচে পড়ে। কোন কোন এলাকা দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে করে শতাধিক পরিবারের ঘরে পানি ওঠে। অনেকের মাছের ঘেরে পানি প্রবেশ করে। কুড়িগ্রাম ॥ সব নদ-নদীর পানি দ্রুতই কমছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমরসহ সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হবে। এদিকে, পানি কমলেও বানভাসিদের দুর্ভোগ এখনও রয়েছে। উঁচু বাঁধ,স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে।
×