ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গলাচিপায় হোটেল কক্ষে আটকে ছাত্রীকে ধর্ষণ ॥ আটক ৫

প্রকাশিত: ২১:৩০, ৩১ জুলাই ২০২০

গলাচিপায় হোটেল কক্ষে আটকে ছাত্রীকে ধর্ষণ ॥ আটক ৫

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সদরে এক মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষিত হয়েছে। শহরের পুরনো লঞ্চঘাটের হোটেল সৈকত মহলের সাত নম্বর কক্ষে আটকে রেখে বুধবার রাতে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ধর্ষককে আটক এবং ধর্ষিতকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার গলাচিপা থানায় ওই যুবতী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। আটক ধর্ষকরা হচ্ছে, গলাচিপার ছোনখোলা গ্রামের মৃত ইউনুস সরদারের ছেলে মোঃ শহিদুল সরদার (২৪), চরবিশ্বাস গ্রামের নূর ইসলাম গাজীর ছেলে মোঃ বশির গাজী (৩২), একই গ্রামের মৃত আদম আলী শিকদারের ছেলে মোঃ স্বপন শিকদার (৪০), চরআগস্তি গ্রামের যতীন হাওলাদারের ছেলে জীতেন হাওলাদার (৩৫) ও রাঙ্গাবালী উপজেলার চরবেস্টিন গ্রামের মৃত হাতেম আলী ডাক্তারের ছেলে খোকন ডাক্তার (৪০)। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও মামলার অন্যতম আসামি ওই হোটেলের ম্যানেজার উত্তর চরবিশ্বাস গ্রামের রুস্তুম হাওলাদারের ছেলে ফারুক হাওলাদার পলাতক রয়েছে। জানা গেছে, গলাচিপার গজালিয়া গ্রাম থেকে ওই ছাত্রী (১৯) তার বড় বোনকে চিকিৎসক দেখানোর জন্য বুধবার বিকেলে গলাচিপা উপজেলা শহরে আসে। বরগুনার আমতলী উপজেলার সোনাখালী গ্রাম থেকে তার বড় বোনের গলাচিপা আসার কথা ছিল। সে সন্ধ্যা পর্যন্ত বড় বোনের জন্য ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষা করে। কিন্তু বড় বোন না আসায় এক পর্যায়ে সে সোনাখালী রওনা হয়। এরই মধ্যে রাত নেমে আসে। মামলার এক নম্বর আসামি শহিদুল সরদার পথের দূরত্বের ভয় দেখিয়ে যুবতীকে ফেরিঘাট থেকে ফুসলিয়ে কাছের নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন হোটেল সৈকত মহলের সাত নম্বর কক্ষে এনে ওঠায়। রাত সাড়ে আটটার দিকে শহিদুল সরদার সঙ্গীদের নিয়ে এসে হোটেল ম্যানেজারের সহায়তায় যুবতীকে গণধর্ষণ করে। গভীর রাতে পুলিশের একটি টহল দলের কাছে গোপন সূত্রে এ গণধর্ষণের খবর পৌঁছায়। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে হোটেল কক্ষ থেকে পাঁচ ধর্ষককে আটক ও ধর্ষিতকে উদ্ধার করে।
×