ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আদমদীঘিতে সড়ক ও রেল লাইনের উপর পশুর হাট

প্রকাশিত: ১৮:০৮, ২৬ জুলাই ২০২০

আদমদীঘিতে সড়ক ও রেল লাইনের উপর পশুর হাট

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার ॥ সরকার সড়ক ও মহাসড়কের পাশে কোরবানির পশুহাট বসানো নিষিদ্ধ করলেও প্রভাবশালী ইজারাদাররা সে নির্দেশ মানছেন না। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরে সড়ক ঘেঁষে এবং উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর এবং নশরতপুরে রেললাইনের উপর এবারো বসানো হয়েছে কোরবানির পশুহাট। এদিকে প্রতিটি কোররবাণীর পশুর হাটে খাজনা বা টোল আদায়ে চলছে চরম নৈরাজ্য। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের নিকট থেকে অতিরিক্ত হারে টোল আদায় চলছে। কিন্তু টোলের রশিদে আদায় টাকার পরিমান লেখা হচ্ছে না। এটাকে অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতা দিনে-দুপরে বাটপারি করার সাথে তুলনা করেছেন। শুধু সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতা নয়, খোদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কেনা কোরবাণীর পশুর টোল আদায়ের রশিদেও টাকার পরিমানের জায়গা ফাঁকা। জানা গেছে, শেষ মুহুর্তে কোরবানির পশুরহাট জমজমাট হয়ে উঠার সুযোগে ইজাদাররা পশু কেনাবেচায় সরকার নির্ধারিত মুল্যে চেয়ে বেশী টোল আদায় করছেন। সরকারি ভাবে প্রতিটি গরুর জন্য ৪শত এবং ছাগল-ভেড়ার জন্য ১৫০টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইজারাদার জোড়পুর্বক আদায় করছেন গরু ক্রেতার ৬শত এবং বিক্রেতার ৫০টাকা এবং ছাগল ও ভেড়া ক্রেতার ৪শত এবং বিক্রেতার নিকট থেকে ৫০টাকা আদায় করা হচ্ছে। সান্তাহার পৌর এলাকার মালসন গ্রামের মোঃ হারেজুজ্জামান হারেজ বলেন, শনিবার সান্তাহার রাধা কান্ত হাটে একটি কোরবাণীর গরু ক্রয় করে,ইজারাদার ছাড়পত্র নিতে গেলে জোড়পুর্বক ৬শত টাকা আদায় করা হয়েছে। কিন্তু রশিদে টাকার কোন পরিমান না লেখায় তুমুল হট্টগোল হয়। এরকম ভাবে প্রতিটি সচেতন ক্রেতার সাথে টোল আদায় নামক বাটপারদের সাথে হট্টগোলের পাশাপাশি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। কিন্তু জোরপুর্বক অতিরিক্ত আদায় বন্ধ উদ্যোগ নিচ্ছেন না সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা। একই অবস্থা আদমদীঘি উপজেলা সদর এবং নশরতপুর পশুহাটেও। উপজেলার হলুদঘর গ্রামের গরু বিক্রেতা সেকেন্দার আলী বলেন, গাভী বিক্রির জন্য নেয়া হয়েছে ১০০ টাকা। শনিবার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার লোক মারফত সদরের হাট থেকে কোরবাণীর পশু হিসাবে ছাগল কেনেন। কিন্তু তাঁর কেনা পশুর টোল রশিদেও আদায় করা টাকার পরিমান লেখা হয়নি বলে জানা গেছে। এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য সান্তাহার রাধা কান্ত হাট, আদমদীঘি সদর হাট এবং নশরতপুর হাটের ইজাদারদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি। আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, অতিরিক্ত টোল আদায় এবং রশিদে টাকার পরিমান না লেখার বিষয়টি জানা ছিলনা। বিষয়টি যেহেতু জানতে পেরেছি সেহেতু আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×