ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিয়ায় মানবিক সাহায্য প্রদানে চীন-রাশিয়ার ভেটো

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ১১ জুলাই ২০২০

সিরিয়ায় মানবিক সাহায্য প্রদানে চীন-রাশিয়ার ভেটো

অনলাইন ডেস্ক ॥ যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্ক সীমান্তে বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষকে জাতিসংঘ থেকে দেওয়া মানবিক সহায়তা প্রদানের মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) এই সহায়তার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব উঠলে তাতে ভেটো দিয়েছে দুই স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র চীন এবং রাশিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী জাতিসংঘ বলছে, সিরিয়ার লাখ লাখ বেসামরিক মানুষ, বিশেষ করে বিদ্রোহী অধ্যূষিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এসব বাসিন্দা জাতিসংঘের ওই মানবিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করেই বেঁচে আছে। এটাকে তাদের জন্য ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে বর্ণনা করছে জাতিসংঘ। নিরাপত্তা পরিষদে জার্মানি-বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে ওই মানবিক সাহায্যে মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর খসড়া প্রস্তাব তোলা হয়। কিন্তু অস্থায়ীসহ নিরাপত্তা পরিষদের ১৩ সদস্য রাষ্ট্র এর পক্ষে সমর্থন দিলেও রাশিয়া এবং চীন প্রস্তাবটি পাশে ভেটো দিয়েছে। মূলত সিরিয়ায় আসাদ সরকারের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন এর কারণ। এই অনুমোদন পেলে তুরস্ক সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে দামেস্ক সরকারের অনুমতি ছাড়াই ওসব অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কর্তৃত্ব পায় জাতিসংঘ। কিন্তু বাসার আল-আসাদ সরকারের মিত্র হিসেবে পরিচিত চীন ও রাশিয়া বলছে, সিরিয়া থেকেই ত্রাণ মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। আজ শুক্রবার থেকে মানবিক সাহায্য দেওয়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তৃতীয়বারের মতো আজ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। কিন্তু চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো প্রস্তাবনায় ভেটো দিল রাশিয়া ও চীন। বেশিরভাগ দেশে পক্ষে থাকলেও দুই দেশের ভেটোর কার তা পাস করানো যায়নি। ছয় বছর আগে এর কর্তৃত্ব পায় জাতিসংঘ। যেখানে জর্ডান ও ইরাক আন্তঃসীমান্ত থেকেও ত্রাণ পৌঁছানোর বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত ছিল। তবে রাশিয়া এবং চীনের বিরোধিতার কারণে সেই সব ক্রসিং গত জানুয়ারিতে বন্ধ করে দেওয়া। দেশ দুটি চায় তুরস্কে সীমান্তের তিনটি ক্রসিং কমিয়ে একটিতে নিয়ে আসতে।
×