ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা

প্রকাশিত: ২০:০০, ১১ জুলাই ২০২০

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা

দীর্ঘ আড়াই যুগের সাধনা সফল হতে চলেছে। আমাদের ফরিদগঞ্জের ডাকাতিয়া নদীর ওপর উটতলী ব্রিজটি নির্মাণে আর কোন বাধা রইল না। গত মঙ্গলবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল ঊঈঘঊঈ উটতলী ব্রিজ প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে। যার নির্মাণ ব্যয় ১০৭ (একশ সাত) কোটি টাকা। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। প্রিয় ফরিদগঞ্জবাসী আপনারা অবশ্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন। অবশ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো ধৃষ্টতার পর্যায়ে পড়ে। তার কাছে দাবি করতে হয় না। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে কি প্রয়োজন কোথায় কি দরকার কোথায় নদী খনন করতে হবে কোথায় পুল কালভার্ট লাগবে কোথায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে ঠিক করতে হবে সব কিছু তথ্য তার কাছে আছে এবং তিনি একে একে সব কিছুর সমাধান দিয়ে চলেছেন। প্রথম পাঁচ বছর ১৯৯৬-২০০১ ছিল ফরমেঞ্চন অধ্যায়। তারপর ২০০৮ থেকে অদ্যাবধি এই দুই যুগ ছিল কাজের যুগ। অর্থাৎ পিছিয়ে পড়া বা একটি অনগ্রসর থানাকে, থানা না বলে অঞ্চল বলাই শ্রেয়, এগিয়ে নিয়ে উন্নত এলাকাগুলোর সমান্তরালে নেয়া। খুব দ্রুত কাজগুলো এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সর্বনাশা কোভিড-১৯ ভাইরাস বা করোনার ছোবলে সবকিছুর গতি স্লথ করে দিল। এ আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে এবং আল্লাহই আমাদের এই বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টির সেরা আশরাফুল মাখলুকাত, এর ভাল-মন্দের দায়িত্বও আল্লাহ পাকেরই হাতে। তারপরও বলব যে টেলিফোনটি আসে একটি মৃত্যুর খবর নিয়ে আসে। এইমাত্র একটি টেলিফোন এলো। কারওয়ান বাজার ব্যবসা করেন ব্যবসায়ী নেতা আবদুল মান্নান মাস্টারের মৃত্যুর খবর নিয়ে এলো। ফরিদগঞ্জের ৫ নং ইউনিয়নে বাড়ি। সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রথমবার নমিনেশন দেন ২০০১ এ, দ্বিতীয়বার ২০০৮ এ এবং তৃতীয়বার ২০১৮-তে। প্রত্যেকবারই মান্নান মাস্টারের মতো ভাল মানুষেরা আমার পক্ষে প্রকাশ্যে ক্যাম্পেইনে নেমেছিলেন। প্রথমবার বিএনপির কারচুরি করে হারিয়ে দেয় এক কোটি ২৪ লাখ ভুয়া ভোট ব্যবহার করে। দ্বিতীয়বার আমাদেরই বহিরাগত একটি চক্র নমিনেশন না পেয়ে প্রথমে না ভোট দিয়েও যখন দেখল ঠেকানো যাবে না তখন সরাসরি ধানের শীষে ভোট দিয়ে হারিয়ে দেয় তাও সামান্য ভোটে। ১৮-তে আর সে চক্রান্ত কাজে লাগেনি কারণ দলীয় নেতা-কর্মী বিশেষ করে তরুণরা বিশেষভাবে সক্রিয় ছিল। মান্নান মাস্টার খুব খুশি হয়েছিলেন। মাঝেমধ্যে সেল ফোনে খোঁজখবর নিতেন কিন্তু নিজের কোন চাহিদা ছিল না। আল্লাহ মান্নান মাস্টারকে শান্তিতে রাখুন। আমিন। আজ মনে পড়ে ২০০১ এর নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালী হয়ে সভা সমাবেশ করতে করতে রাত ১০ টায় ফরিদগঞ্জে এসেছিলেন এবং লক্ষাধিক লোকের সামনে আমাকে পাশে দাঁড় করিয়ে বলেছিলেন : - শফিক সাহেব আমার সহপাঠী বন্ধু একসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আইয়ুব-মোমেনবিরোধী আন্দোলন করেছি। শফিক একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক। আমরা তাকে নমিনেশন দিয়েছি। আপনারা ভোট দিয়ে সংসদে পাঠান। আমি জানি ফরিদগঞ্জ একটি অবহেলিত জনপদ। শফিক সাহেবের মাধ্যমে এর উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেষ বাক্যটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর (ফরিদগঞ্জের) উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিলাম এই ঘোষণার মূল্য অনেক। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা যা বলেন বাস্তবায়ন করেন। বিএনপি নেতা নেত্রীদের মত মিথ্যা বলেন না। মিথ্যে আশ্বাস দেন না। এটি কেবল বাংলাদেশের মানুষ নন গোটা বিশ্বের মানুষই জেনে গেছেন। যে কারণে : - তিনি চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ - মাদার অব হিউম্যানিটি - মাদার অব আর্থ এমনি সব রেয়ার অভিধায় ভূষিত হয়েছেন। বিশ্বের দুই ডজনেরও অধিক বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বিশ্ব শান্তির জন্য সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রীতে ভূষিত করেছে। কিন্তু তিনি নামের সঙ্গে একটি ডক্টরেটও লাগান না। অথচ দেশ কাকে বলে চেনেন না তাকে ডাকা হয় দেশনেত্রী কিংবা আপোষ কামীকে বলা হয় আপোসহীন। সব রুচির ব্যাপার। উটতলী ব্রিজ আজকের পর্যায়ে আসার পেছনে অনেক ঘাম ঝরানো প্রচেষ্টা আছে। প্রচেষ্টার শুরু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর (২০০৮ এর নির্বাচনের পর ২০০৯)-তে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী বানান যুবলীগ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানককে। মন্ত্রী ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জাতীয় চার নেতার অন্যতম এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও সুপ্রিম কমান্ডার অব আরম ফের্সেস শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র। তবে কাজ চালাতেন মূলত জাহাঙ্গীর কবির নানক। তখন আমি এমপিও না পার্টির কোন পর্যায়ের নেতাও না। তবে প্রেসক্লাব কিংবা সাংবাদিক কমিউনিটির নেতৃত্বে থাকার কারণে এবং সর্বোপরি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করা বা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ে আমার গতি। তার ওপর আবার দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট হবার সুবাদে যাতায়াতটা বেড়ে যায়। ততদিনে সবাই এটাও জেনে গেছে আমি নেত্রীর সহপাঠী। কাজেই সকল ক্ষেত্রে আমার অবাধ এক্সেস ছিল। এই সুযোগটি আমি নিয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষক, কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার, পুলিশের কনস্টেবল থেকে এএসআই এমনকি এ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পর্যন্ত চাকরি দিতে সক্ষম হয়েছি। সরকারের যার কাছে গেছি তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজটি করে দিয়েছেন। চাকরি পাওয়ারা সবই ফরিদগঞ্জের, স্কুল মিলিয়ে তিন শতাধিক হবে। এমনকি একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার দুই কন্যা একসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ পেয়েছেন। এ জন্য আমি আজ মোতাহার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, ডার আফসারুল আমিন প্রমুখ প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়দের কাছে কৃতজ্ঞ। মোহাম্মদ নাসিম হেলথ মিনিস্টার থাকাকালে হেলথে অনেক চাকরি দিয়েছি। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। পুলিশের এ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের চাকরি দিয়েছি এমন একজন মানুষের টেলিফোনে যার নাম প্রকাশ করতে চাই না। সমাজে রাষ্ট্রে অনেক সম্মানী মানুষ তাই, অবশ্য এটা ঠিক কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার বা পুলিশের কনস্টেবল এসব চাকরির জন্য জেলা লেভেলের কর্মকর্তারাই যথেষ্ট ছিলেন। তারা যথেষ্ট সহযোগিতাও করেছেন। তবে একটি কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে এই যে প্রথম দিকে চাকরি দিচ্ছি আমি অনেককে নিয়ে তালিকা বানিয়ে আর কাছের কিছু স্থানীয় নেতা আমার নাম করে টাকা আদায় করা শুরু করে। প্রাইমারিতে এক লাখ থেকে আড়াই লাখ ৬ লাখ পর্যন্ত। কিন্তু এসব গোপন থাকেনি অল্পদিনেই সংশোধন করা সম্ভব হয়েছে। আবার এমন অভিজ্ঞতাও আছে যে তালিকা বানিয়ে শীর্ষ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চাকরি দিয়েছি, বলে বেড়িয়েছে তারা নিজ নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে অথবা ওপরের লেভেলে ঘুষ দিয়ে। তবু তারা চাকরি পেয়েছে তাদের পরিবার ভাল আছে এটাই আমাদের খুশির ব্যাপার। তবে ঐ ধরনের ছেলেদের সংখ্যা খুব বেশি নয় বেশিরভাগই স্বীকার করে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। দল করে আন্তরিকতার সঙ্গে। উটতলী ব্রিজের কথা বলছিলাম। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক (বর্তমানে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য)। তার কাছে প্রশ্নটি উত্থাপন করলে তিনি বিশেষভাবে আগ্রহ দেখান। আমি তাকে বোঝাতে সক্ষম হই যে এই ব্রিজটি বাগাদী চৌরাস্তা থেকে মুন্সিরহাট, কামতা, ফকিরহাট হয়ে চাঁদপুর হাজিমারা সেচ প্রকল্পের যে বেড়িবাঁধটি চলে গেছে রামগঞ্জ পর্যন্ত, বর্ষ পরিক্রমায় এই বাধটিই হয়ে ওঠে যান চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যা বর্তমানে আঞ্চলিক মহাসড়ক RHW হিসেবে গুরুত্বের দিক থেকে আরও বেশি। তখনও RHW হয়নি। বেড়িবাঁধ। এই বেড়িবাঁধের সঙ্গে মুন্সিরহাটের পাশে ডাকাতিয়া নদীর ওপর ব্রিজটি হতে পারে। ডাকাতিয়ার এ ব্রিজ হলে ফরিদগঞ্জ-রমগঞ্জ-হাজিগঞ্জ ও চাঁদপুর এই চারটি থানার কানেক্টিভিটি এনসিওর করে। ডাকাতিয়ার ওপারে বলাখাল এবং তা চাঁদপুর কুমিল্লা জঐড বা আঞ্চলিক মহাসড়ক। ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর যতবার বক্তব্য রেখেছি ততবার এই ব্রিজের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এমনকি সর্বশেষ সাবেক এমপি রাজা মিয়া স্যারের পুত্র আমির আজম রেজাকে (যাকে নেত্রী ফরিদগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু স্থানীয় কোন্দলে তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি) নিয়ে এলাকার সন্তান প্ল্যানিং কমিশনের সচিব নূরে আলমের সঙ্গে অফিসে দেখা করে বলেছি, প্লানিং এবং এলজিইডি উভয় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদ্বয় জানেন। আপনি সজাগ থাকবেন যে এজেন্ডা থেকে বাদ না পড়ে। তাকে ধন্যবাদ তিনি সতর্ক ছিলেন। আজ একনেকে পাশ হলো। আলহামদুলিল্লাহ। আরও দু’জনের কথা বলতে হবে একজন খাজে আহমদ মজুমদার অন্যজন তৎকালীন চাঁদপুর জেলা এলজিইডির এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। খাজে আহমদ মজুমদার তার কাছে গিয়ে বললে তিনি ব্রিজের একটি চিত্র এঁকে দেন। তাদেরও ধন্যবাদ। এখন কাজ এলজিইডির ফরিদগঞ্জ থানা ইঞ্জিনিয়ার এবং চাঁদপুর জেলা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের। তারা যত সিরিয়াসলি ফলোআপ করবে কাজও ততো দ্রুত সম্পন্ন হবে। আগামী নির্বাচনের আগে এর নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়ী হবেন। আরও অন্তত দুটা বড় কাজ আছে ফরিদগঞ্জে ১. ডাকাতিয়া নদী খনন ও ২) ফরিদগঞ্জ সদরে বঙ্গবন্ধু কালচারাল সেন্টার নির্মাণ। এগুলো আমার নির্বাচনী ঘোষণা ছিল যে নির্বাচিত হলে এই কাজ করার চেষ্টা করব। ১. ডাকাতিয়া নদীও একটি আন্তর্জাতিক নদী। এটি ভারতের ত্রিপুরা পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে কুমিল্লার বাগসারা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং কুমিল্লা লাকসাম হয়ে চাঁদপুর শহরকে দুই ভাগ করে মেঘনা পদ্মার মোহনায় মিশে ত্রিমোহনী রচনা করেছে। অসম্ভব খরস্রোতা ছিল এই ডাকাতিয়া ৫০/৬০ এর দশকে এই নদী দিয়ে কার্গো জাহাজ চলাচল করত, চলত বড় বড় মহাজনী নৌকা। জাহাজগুলো টগ টগ করে চলত বলে আমরা বলতাম টগজাহাজ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ডাকাতিয়া নদী দিয়ে পাকিস্তান আর্মি ঢুকেছিল কিন্তু আমাদের যৌথবাহিনীর সাঁড়াষী আক্রমণে চাঁদপুরে পিছু হাঁটতে বাধ্য হয়। ডাকাতিয়া ছিল মাছের ভান্ডার। এতে গলদা চিংড়ি, রুই, কাতলা, মৃগেল, সৈল, বোয়াল, আইড় মাছে ভর্তি ছিল। এই মাছের কারণে নদীকূলে অনেক জেলেপাড়া গড়ে উঠেছিল। বিশেষ করে গলদা চিংড়ি একেকটা ১ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতো ঠ্যাংগুলো তার চেয়েও লম্বা। দুই পাড়ের মানুষ জেলেরা মইজাল ফেলে কিছুদূর টেনে নিয়ে তুললে জালভর্তি গলদা উঠতো, ৫০ কেজি থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত। তিনটি গলদায় ২ কেজি হতো। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা বাজারে বাজারে হ্যান্ড মাইক দিয়ে ঘোষণা দেই গ্রামাঞ্চল থেকে শহরে মাছ মাংস দুধ শাকসবজি কোন কিছু যাবে না। মানুষ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে, যে কারণে এক হালি বড় সাইজের গলদা চার আনা ছয় আনা বিক্রি হয়েছে। এই সোনার খনি ডাকাতিয়া আজ স্রোতহীন। দুই পাড়ে ভূমিদস্যুরা যেমন বছর বছর ২ ফুট ৩ ফুট করে মাটি ফেলে দখল করেছেন তেমনি ইটভাটার মালিকরা দখল করেছে বছর বছর ৪/৫ ফুট করে। এমনভাবে একটি নদী খেয়ে ফেলল কিছু মানুষ। দুই পাড়ে অনেকের আফসোস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে কিন্তু দস্যুদের বিরুদ্ধে কথা বলে না। যে কারণে এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে সরকারের কাছে আমার দাবি ডাকাতিয়া নদী ড্রেজিং করে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা। এ দাবিটিও আমি সংসদের প্রথম বক্তৃতায় উত্থাপন করেছি এবং চেষ্টা করে চলেছি। ২. ফরিদগঞ্জ সদরে বঙ্গবন্ধু কালচারাল সেন্টার নির্মাণ। এখানে প্রায় ৩ একর জমি আছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের। পরিত্যক্ত। এখানে শিল্পকলা একাডেমি, অডিটোরিয়াম, নাট্যমঞ্চ, আর্ট গ্যালারি প্রভৃতি সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধু কালচারাল সেন্টার হতে পারে। এই দাবিটিও আমি প্রথমেই উত্থাপন করেছি। ৩) ফরিদগঞ্জে আরও একটি কাজ বাকি এখানে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন বিশেষভাবে জরুরী। ঢাকা- ০৯ জুলাই ২০২০ লেখক : এমপি সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×