ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কলা পাতায় খাবার খাওয়ার প্রচলন

শরিফুল রোমান,মুকসুদপুর,গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১১:২৯, ১২ জুলাই ২০২৫

বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কলা পাতায় খাবার খাওয়ার প্রচলন

ছবি: জনকণ্ঠ

বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কলার পাতায় খাওয়ার প্রচলন। এক সময় কলা পাতা ছিল খাবারের প্রধান আকর্ষণ।

যে কোন অনুষ্ঠানে খাবারের আয়োজন ছিল সে অনুষ্ঠানের জন্য এক সপ্তাহ আগে থেকেই স্থানীয় বিভিন্ন কলার বাগান থেকে কলাপাতা সংগ্রহের ধুম পড়ে যেত। বর্তমানে একবার ব্যবহার উপযোগী থালা আর গ্লাস খুব সহজে বাজারে পাওয়া যাওয়ায় কলার পাতায় আর খাবার পরিবেশন করা হয় না। ওয়ান টাইম প্লেট আসাতে কলার পাতা বিলীন।

মুকসুদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কিছু বয়স্কদের কাছে কলা পাতায় খাবারের বিষয় জানতে চাইলে তারা দৈনিক জনকন্ঠের এই প্রতিবেদক এর সাথে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন।

মুকসুদপুর উপজেলার চন্ডিবরদী গ্রামের মোঃ মোতাহার শেখ (৬০) বলেন, ১৫-২০ বছর আগে কলার পাতা ছাড়া কোন একচল্লিশা/ কুলখানি/ শ্রাদ্ধ যে নামেই বলেন কোন খাওয়াই হতো না। খাবারের দিন তারিখ ঠিক হওয়ার ৫-৭দিন আগে থেকেই কলাপাতা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকতো যুবক-ছেলেরা, তা পানি ঢেলে ধুয়ে শুকনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার করে একটা জায়গায় রাখত। আর আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসী সবাই মিলে সারি-সারি মাটিতে পাটের বস্তা বিছিয়ে  বসে কলাপাতায় রেখে খাবার খাওয়া হতো।

ভাবড়াশুর ইউনিয়নের মন্ডলগাতী গ্রামের  মোঃ শহিদুল ইসলাম(৫৫) বলেন, বর্তমানে প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম প্লেট আর গ্লাসে হারিয়ে গেছে আগের সেই দিনের সেই ঐতিহ্যবাহী কলার পাতায় খাবার পরিবেশন। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না সেই কলার পাতায় মজলিস খাওয়া।

সমাজসেবী রুদ্র কমল বলেন, বর্তমান যুগের মানুষ ওইসব কলার পাতায় খাওয়া ভুলে যেতে বসেছে। কারণ, এখন ২-৩ টাকা হলে পাওয়া যায় ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের প্লেট-গ্লাস।
 

সাব্বির

×