ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে স্ত্রীর আবেগঘন স্ট্যাটাস

প্রকাশিত: ১৮:১১, ৬ জুলাই ২০২০

এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে স্ত্রীর আবেগঘন স্ট্যাটাস

অনলাইন রিপোর্টার ॥ দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হয়েছে তাকে। সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান এন্ড্রু কিশোরের বোনজামাই ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস। এন্ড্রু কিশোর সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে বর্তমানে রাজশাহীর মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাস এবং দুলাভাই ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসের বাসায় রয়েছেন। রবিবার বিকেলে এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। সে রাতেই এন্ড্রু কিশোরের ফেসবুক পেজ থেকে তার স্ত্রী লিপিকা স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক অবস্থার উল্লেখ করে লেখেন, ‘এখন কিশোর কোনো কথা বলে না। চুপচাপ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে। আমি বলি কি ভাব, বলে কিছু না, পুরানো কথা মনে পড়ে আর ঈশ্বরকে বলি আমাকে তাড়াতাড়ি নিয়ে যাও, বেশি কষ্ট দিও না।’ লিপিকা লিখেছেন, ‘ক্যানসারের শেষ ধাপে খুব যন্ত্রণাদায়ক। এন্ড্রু কিশোরের জন্য সবাই প্রাণ খুলে দোয়া করবেন, যেন কম কষ্ট পায় এবং একটু শান্তিতে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে যেতে পারে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার মনে হল, কিশোর শুধু আমার বা আমাদের সন্তানের বা আমাদের পরিবারের নয় বরং দেশের মানুষের একটা অংশ বা সম্পদ। তাই এই কথাগুলো দেশের ভক্ত শ্রোতাদের বলা বা জানানো আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’ তিনি লিখেছেন, ‘এটাই শেষ পোস্ট, এরপর আর কিছু বলা বা লেখার মত আমার মানসিক অবস্থা থাকবে না। এখনও মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন মনে হয়, কিশোর থাকবে না অথচ আমি থাকব, মেনে নিতে পারছি না। এই অসময়ে, সবাই সাবধানে থাকবেন, নিজের প্রতি যত্ন নিবেন, সুস্থ থাকবেন, ভাল থাকবেন আর এন্ড্রু কিশোরের এর প্রতি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি রাখবেন ও প্রাণ খুলে দোয়া করবেন।’ ব্লাড ক্যান্সার নিয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ১১ জুন রাতে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর তিনি ঢাকা থেকে রাজশাহী চলে আসেন। ১৯৭৭ সালে এন্ড্রু কিশোর আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু করেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙ্গাল’ প্রভৃতি।
×