ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

না’গঞ্জে সড়ক সংস্কার দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ২০:৪১, ১ জুলাই ২০২০

না’গঞ্জে সড়ক সংস্কার দাবিতে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ বন্দর উপজেলার দক্ষিণ লক্ষণখোলা কবরস্থান সড়কে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ ও সংস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান ধর্মঘটসহ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-মদনগঞ্জ সড়কের পাশের ওই সড়কটি অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী এই অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন তারা। পরে পুলিশ এসে সমাধানের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ ও অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন। স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ নিয়মিত চলাচল করে ওই সড়ক দিয়ে। গত তিন বছর আগে দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই কাঁচা সড়কটি পাকাভাবে নির্মাণ করে দেয় সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকায় অবস্থিত এসিআই ফ্লাওয়ার মিল, সোহাগপুর টেক্সটাইল মিল ও বেশ কয়েকটি তুলার কারখানাসহ অর্ধশত ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালামাল বহনের জন্য নিয়মিত ভারি যানবাহন চলাচল শুরু হয় এই রাস্তা দিয়ে। যার কারণে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোটবড় খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেশ কয়েক জায়গা ধসে পড়েছে। এতে করে সড়কের দু’পাশের কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি, দোকানপাট ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অবরোধ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন- দক্ষিণ লক্ষণখোলা ছোট সমাজ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি আবদুল আউয়াল, স্থানীয় সমাজসেবামূলক সংগঠন নব আশা যুব সংঘের সভাপতি আশরাফ হোসেন বাবু এবং জেলা মাইক্রোবাস ও ট্যাক্সিচালক শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির হোসেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কটি দ্রুত মেরামতসহ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নওগাঁয় দুই কি মি সড়কে দুর্ভোগ নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের হাট-চকগৌরী থেকে ভান্ডারপুর-দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত মাত্র থেকে আড়াই কি. মিটার রাস্তা চলতি বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ওই দুই গ্রামে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের বাস। ওই গ্রাম দুটিসহ পাশর্^বর্তী গ্রামের অন্তত ২০ সহস্রাধিক মানুষ ওই পথে চলাচল করে। চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপিসহ প্রশাসনের কোন নজর নেই সেদিকে। এমন অভিযোগ ওই দুই গ্রামের মানুষের। গ্রামবাসী জানায়, অন্তত ১৫ হাজার হিন্দু-মুসলমানের বাস হলেও জনপ্রতিনিধিরা ৫ বছর পর পর আসেন ভোট চাইতে। সে সময় রাস্তাসহ এলাকার উন্নয়নে তারা যেন জীবনপণ করে থাকেন। অথচ ভোট গেলেই আর কোন খবর নেয় না তারা। এই কাঁচা রাস্তাটি হাট-চকগৌরী থেকে ভান্ডারপুর হয়ে দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর রসিক ডাক্তারের মোড় পর্যন্ত পৌঁছেছে। ওই দুই গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসল সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে পারেনা। কোমলমতি শিশুরা স্কুলে যেতে পারেনা। জরুরী কোন রোগীকে হাসপাতালে নিতে কোন এ্যাম্বুলেন্স যেতে পারেনা। সারাদেশে যখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে, ঠিক সে সময় ওই দুই গ্রামের নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষগুলো শুধু ওই রাস্তার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
×