ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ড্রেনের কাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা ॥ দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ২২:১০, ২৯ জুন ২০২০

ড্রেনের কাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা ॥ দুর্ভোগ চরমে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট-ভবানীগঞ্জ সড়কের হরিদাগাছি মহল্লায় ড্রেন নির্মাণের নামে মাটি কেটে রেখে লাপাত্তা রয়েছে ঠিকাদার। ফলে ধসে পড়ছে মানুষের বসত বাড়ি। ব্যস্ততম পাকা রাস্তার ওপর মাটি ফেলে রাখার কারণে পিচ্ছিল কাদায় জনদুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ঠিকাদারের উদাসীনতার দায় এড়িয়ে চলছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে জন সাধারণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজশাহীর কেশরহাট পৌরসভার হরিদাগাছি মহল্লার খন্দকার পাড়ার পানি নিষ্কাশনের জন্য অগ্রণী ব্যাংক থেকে শিবনদের পাড়ে সিরাজুলের বাড়ি পর্যন্ত একটি ড্রেন নির্মাণের কাজ পান হাসমত নামের এক ব্যক্তির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটি দীর্ঘদিন আগে টেন্ডার হলেও বর্ষা মৌসুম শুরুর পর গত সপ্তাহে শুরু করে ঠিকাদারি ওই প্রতিষ্ঠানটি। মেশিন দিয়ে গভীর গর্ত করার পর আর কাজে লাগেনি শ্রমিকরা। এদিকে বৃষ্টির কারণে ধসে পড়তে শুরু করেছে বাড়িঘরের আধাপাকাসহ মাটির দেয়াল। রাস্তা ওপর মাটি ফেলে রাখায় যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এমনকি চলতে পারছে না পথচারীরাও। তবে খোঁজ নেই ঠিকাদারের। এখন ধসে পড়ছে স্থানীয়দের বাড়ির দেয়াল। ক্ষতির বিষয়টি পৌর মেয়র ও প্যানেল মেয়রকে স্থানীয়রা জানালেও প্রতিকার মিলছে না। স্থানীয়রা জানান, ঠিকারদারকে বার বার ফোন করা হলেও ফোন ধরছেন না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র রুস্তম আলী বলেন, মানুষের উন্নয়নের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজনকে আর কাজে লাগতে দেখা যাচ্ছে না। এদিকে মানুষের বাড়িঘর ধসে পড়তে শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ করার তাগিদ দিতে তিনি নিজেই ঠিকাদার হাসনাতকে অন্তত ২০ বার ফোন দিয়েছেন কিন্তু ফোন তিনি ধরেননি বলে জানান। জানা যায়, কেশরহাট পৌরসভার প্রায় ঠিকাদারি কাজ পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ ও সহকারী প্রকৌশলী সরদার জাহাঙ্গীর আলমের যোগসাজসে হাসমতকেই দেয়া হয়। যার কারণে তিনি নিজ গতিতে পৌর এলাকার সকল নির্মাণ কাজ পরিচালনা করে থাকেন। বিগত দিনে তিনি যেসব কাজ করেছেন তার সবই ক’দিন পরেই নষ্ট হয়ে গেছে। ড্রেনের কাজ বন্ধ বিষয়ে জানতে চাইলে কেশরহাট পৌর সভার সহকারী প্রকৌশলী সরদার জাহাঙ্গীর আলম কোন কথা বলতে রাজি হননি। কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদের মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
×