ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চলনবিলবাসীকে দেয়া অঙ্গীকার পূরণ করেছি : পলক

প্রকাশিত: ১৮:২৯, ২৮ জুন ২০২০

চলনবিলবাসীকে দেয়া অঙ্গীকার পূরণ করেছি : পলক

অনলাইন রিপোর্টার ॥ নাটোরের সিংড়ার চলনবিল একটি প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক। ১১ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা এলাকার আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট এবং সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। গত ১১ বছরে চলনবিলবাসীর কাছে, সিংড়াবাসীর কাছে যতগুলো অঙ্গীকার করেছিলাম; আমরা কিন্তু ধাপে ধাপে প্রত্যেকটি অঙ্গীকার এবং প্রত্যেকটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করে সিংড়ার মানুষকে উন্নত জীবন উপহার দিতে পেরেছি। পলক আরও বলেন, সিংড়া উপজেলা প্রায় ৫২৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের। আয়তনের দিক থেকে মালদ্বীপের চেয়েও বড় আর সিঙ্গাপুরের চেয়ে একটু ছোট। এই বিশাল এলাকায় গ্রামপুলিশরা পায়ে হেঁটে কাজ করেন। করোনার দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো কিন্তু গ্রামপুলিশরাই করেছেন। তিনি বলেন, সিংড়ার মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি ২০০৮ সালের আগে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিটি রাত ডাকাতের ভয়ে পাহারা দিতে হয়েছে মানুষকে। তখন কিন্তু আমার গ্রামপুলিশের ভাইবোনেরা তারা তাদের সীমিত সামর্থ্য হাতে লাঠি ও মুখে বাঁশি নিয়ে গ্রামের মানুষকে পাহারা দিয়েছেন। আজকে ১১ বছর জননেত্রী শেখ হাসিনার সুশাসনের কারণে চলনবিলের মানুষকে আর রাত জেগে পাহারা দিতে হয় না ডাকাতের ভয়ে, আর গ্রামবাসীকে জেগে থাকতে হয় না। কিন্তু তার পরও আমাদের সামাজিক অনেক ধরনের অপরাধ এখনও সমাজে রয়েছে। সেগুলো প্রতিরোধ করবেন। বিশেষ করে এই করোনাভাইরাসের মহামারীর সময় সিংড়ার ৫ লাখ মানুষকে সচেতন করতে ভূমিকা রাখবেন। রবিবার সকাল ১০টায় সিংড়া কোর্ট মাঠে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলার ১০২ গ্রামপুলিশের মাঝে সাইকেল বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় গ্রামপুলিশের সঙ্গে রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে সবার দৃষ্টি কাড়েন প্রতিমন্ত্রী পলক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাসরিন বানু, নারী ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজী, ডাহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএম আবুল কালাম প্রমুখ। পরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলার প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার ও হতদরিদ্র নারীদের মাঝে সেলাইমেশিন বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
×