ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

করোনায় বাড়ছে মানসিক অস্থিরতা

করোনায় বাড়ছে মানসিক অস্থিরতা

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ২৭ জুন ২০২০

করোনায় বাড়ছে মানসিক অস্থিরতা

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ করোনা সংঙ্কটে মানুষ ভয়ানকভাবে মানসিক সমস্যায় ভুগবে বলে মনে করছেন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা। পারিবারিক কলহ, সামাজিক বিশৃঙ্খলার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। অনেকেই আত্মহত্যার মতো পথও বেঁছে নিচ্ছে। করোনা সঙ্কটে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। বক্তারা চলমান করোনা সঙ্কটে মানুষ মানসিক অস্থিরতা ভুগছেন বলে আলোচনায় তুলে ধরেন। এজন্য একে অপরের সঙ্গে মানবিক আচরণ তথা ভাল ব্যবহার, মানসিক চাপ কমাতে আনন্দঘন পরিবেশ বজায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং হাসিখুশি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। অতিরিক্ত মানসিক চাপ বিষণœতায় ভোগা মানুষ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে জানিয়ে কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেঁছে নিচ্ছে বলে আলোচকদের আলোচনায় উঠে আসে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, উক্ত আলোচনা সভার প্রয়োজনীয় সম্পাদনা শেষে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ টেলিভিশনে পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারিত হবে। বেসরকারী কনসাল্টিং ফার্ম ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেড, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচীর অধীনে ‘লাইফস্টাইল এবং হেলথ এডুকেশন এ্যান্ড প্রমোশন’ স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক ‘ক্যাম্পেইন ফর এ্যাওয়ারনেস বিল্ডিং টু প্রোমট হেলদি লাইফস্টাইল টার্গেটিং মেন্টাল হেলথ’ শিরোনামে গত ২৩ জুন বরিশাল নগরীতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার শিরিন সাবিহা তন্নীর সঞ্চালনায় সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ তপন কুমার সাহা। করোনাও একটি দুর্যোগ ॥ নিজের মৃত্যু নিয়ে এখন আর ভাবিনা, একদিনতো সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। আমার ভাগ্যে যদি করোনায় মৃত্যু থাকে, তাহলে তা হবে। তবে অদ্যবধি সরকারের কঠোর নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পুরো ইউনিয়নবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করতে পেরেছি, এটাই আমার বড় স্বার্থকতা। এখন পর্যন্ত কর্মহীন প্রতিটি পরিবারের মাঝে সরকারের বরাদ্দকৃত এবং নিজস্ব অর্থায়নে একাধিকবার বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে পেরেছি, এটাই আমার জীবনের পরম পাওয়া। যে পর্যন্ত দেশে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসে ততদিন পর্যন্ত সরকারের নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করে যাব, এটাই আমার প্রতিজ্ঞা। কথাগুলো বলছিলেন, করোনার শুরু থেকে অদ্যবধি নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া বরিশালের কাঁঠালিয়ার শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মাহমুদ হোসেন রিপন। উপহারের ছবি না তোলাই উত্তম ॥ করোনা সঙ্কটে বিপর্যস্ত অসহায় মানুষের মাঝে নীরবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন বরিশালের কৃতি সন্তান, দুই সহদর বিশিষ্ট শিল্পপতি আলেয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষক আব্দুল আউয়াল হোসেন ও আব্দুল আলিম। তারা কোন প্রচার ছাড়াই নীরবে কয়েক হাজার হতদরিদ্র, কর্মহীন পরিবারকে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। আব্দুল আলিম হোসেন অনলাইন টেলিভিশন কেএম টিভি বাংলার মাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। এছাড়াও তিনি এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আব্দুল আউয়াল হোসেন করোনায় দুর্বিপাকে পরা তার নিজ এলাকা কাঁঠালিয়ার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে এক মাসের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। এছাড়াও ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য তিনি প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও পেশাজীবী সাংবাদিকদের জন্য পিপিই সামগ্রী বিতরণ করেন। করোনা যুদ্ধে ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা ॥ করোনা পরিস্থিতিতে ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা হিসেবে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ পুলিশ। যারা শুরু থেকেই করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশ শতভাগ বাস্তবায়ন, জনগণকে সচেতন ও ত্রাণ কার্যক্রমে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলছেন পুলিশ সদস্যরা। পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের দাফন, সৎকার, করোনা শনাক্তর বাড়ি লকডাউন থেকে শুরু করে সবই করে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। আর এটা করতে গিয়ে সারাদেশের মতো বরিশালেও করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই করোনা সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্যে উঠে আসছে বরিশাল মেট্রোপলিটন, জেলা এবং রেঞ্জ পুলিশে কর্মরত সদস্যদের নাম। বরিশারে গত ৯ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যর সংখ্যা ১৭৪ জন। অপরদিকে বরিশালে পুলিশ আক্রান্ত সদস্যর মধ্যে সুস্থতার হারও বাড়ছে। মোট আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৬১ জন পুলিশ সদস্য করোনা জয় করেছেন।
×