স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস \ চট্টগ্রামে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২১৭ জন, যা মোট পরীক্ষার ২৩ শতাংশের বেশি। জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা এখন ৬ হাজার ৬৯৭। চব্বিশ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৪ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৪৮ জনে পৌঁছেছে। এদিকে, করোনায় চিকিৎসাসেবার সুযোগ বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসছে বেসরকারী পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার রাত পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৫টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯২৬টি। এর মধ্যে ২১৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৯৫ জন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি জানান, সোমবার আক্রান্ত ২১৭ জনের মধ্যে ১৬৪ জন মহানগরের এবং ৫৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ২৯০টি নমুনা পরীক্ষায় ৭৬, ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিআইটিআইডিতে ২৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৫, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে ১০২টি নমুনা পরীক্ষায় ৪০, সিভাসুতে ১৫২টি নমুনা পরীক্ষায় ২০ এবং বেসরকারী ইম্পেরিয়াল হসপিটালে ১১৮টি নমুনা পরীক্ষায় ২৬টি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। মহানগরের বাইরে যে ৫৩ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন তন্মধ্যে ৯জন রাউজান উপজেলার, ৮জন বাঁশখালীর, ৭জন চন্দনাইশের, ৬জন লোহাগাড়ার, ৫জন সাতকানিয়া, ৫জন রাঙ্গুনিয়ার, ৫জন হাটহাজারীর এবং ৪জন করে পটিয়া ও সীতাকুÐ উপজেলার বাসিন্দা।
এদিকে, চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস শনাক্তের উচ্চ হারকে উদ্বেগজনক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোমবার ৯২৬টি নমুনা পরীক্ষা শনাক্ত ২১৭, যা মোট পরীক্ষার ২৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। পরীক্ষার সংখ্যা যাই কোন না কেন, আক্রান্তের হার বরাবরই থাকছে ২০ শতাংশের উপরে। এদিকে, বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করোনা চিকিৎসার পরিধি বাড়াতে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসছে।
হাসপাতালে ভেন্টিলেটর দিচ্ছেন আমিরুল হক \ চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালকে ৭টি ভেন্টিলেটর প্রদান করছেন সিকম গ্রæপ ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আমিরুল হক। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক। আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের হাতে এই ভেন্টিলেটর তুলে দেয়ার কথা রয়েছে।
করোনায় মারা গেলেন ক্যাফে জামানের মালিক \ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এবং ক্যাফে জামান ও হোটেল জামানের স্বত্বাধিকারী মালেকুজ্জামান। মঙ্গলবার ভোরে নগরীর সার্জিস্কোপ হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৫ পুত্র এবং ১ কন্যাসহ অনেক আত্মীয়স্বজন রেখে যান। উল্লেখ্য, দুদিন আগে ওনার ছোট ভাই নুরুজ্জামানও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: