ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা ভাইরাস ॥ নিউ ইয়র্ক শহরের শীর্ষ চিকিৎসকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ১৪:২৬, ২৮ এপ্রিল ২০২০

করোনা ভাইরাস ॥ নিউ ইয়র্ক শহরের শীর্ষ চিকিৎসকের আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইয়ে সামনের সারিতে থাকা নিউ ইয়র্ক শহরের একজন উচ্চপদস্থ চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। ম্যানহাটনে অবস্থিত নিউ ইয়র্ক-প্রেসবিটেরিয়ান অ্যালেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ডাঃ লর্না ব্রিন রোববার আত্মঘাতে মারা গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ৪৯ বছর বয়সী এই চিকিৎসক ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলে নিজের পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। সেখানেই তিনি মারা যান। তার বাবা ডাঃ ফিলিপ ব্রিন নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, “সে তার কাজ করার চেষ্টা করেছে যা তাকে মেরে ফেলেছে।” লর্নার মানসিক অসুস্থতার কোনো ইতিহাস ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি। লর্নার বাবার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন লর্না, প্রায় দেড় সপ্তাহ পর সুস্থ হয়ে ফের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তার পরিবার তাকে শার্লটসভিলে নিয়ে যায়। লর্নার বাবা জানান, শেষবার মেয়ের সঙ্গে যখন কথা বলেন তখন তাকে ‘সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন’ লাগছিল। তার মেয়ে তাকে কীভাবে কোভিড-১৯ রোগীরা মারা যাচ্ছে, এমনকী অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানো আগেই তাদের মৃত্যু হচ্ছে, এসব বলছিলেন। করোনা ভাইরাসের ম্যানহাটনের ওই ২০০ শয্যার হাসপাতালে বহু রোগী মারা যান। “সে সত্যিই লড়াইয়ের সামনের সারিতে ছিল। নিশ্চিত তিনি একজন বীর হিসেবে প্রশংসিত হবেন,” টাইমসকে বলেছেন ডাঃ ফিলিপ ব্রিন। এক বিবৃতিতে নিউ ইয়র্ক-প্রেসবিটেরিয়ান অ্যালেন হাসপাতাল ডাঃ লর্না ব্রিনের প্রশংসা করে তাকে একজন ‘বীর’ বলে আখ্যায়িত করেছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে শার্লটসভিল পুলিশ বিভাগও ডাঃ লর্না ব্রিনকে ‘বীর’ বলে উল্লেখ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২৬ এপ্রিল জরুরি কল পাওয়ার পর ডাঃ লর্নাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। কোভিড-১৯ এ যুক্তরাষ্ট্রে যে ৫৬ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ১৭ হাজার ৫০০ জন নিউ ইয়র্কের। যুক্তরাষ্ট্রের শনাক্ত হওয়া মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্তের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এ অঙ্গরাজ্যটিতে শনাক্ত হয়েছেন।
×