ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চলমান করোনা সঙ্কট নিয়ে জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধিসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী ;###;যারা দৈনন্দিন কাজে যেতে পারছে না তাদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সামাজিক কর্তব্য ;###;পরিস্থিতির সুযোগ নিলে কাউকে ছাড়া হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়া

কেউ যেন অভুক্ত না থাকে ॥ দুঃসময়ে পাশে থেকে সেবা দিতে হবে জনগণকে

প্রকাশিত: ১০:২৩, ১ এপ্রিল ২০২০

কেউ যেন অভুক্ত না থাকে ॥ দুঃসময়ে পাশে থেকে সেবা দিতে হবে জনগণকে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান করোনা সঙ্কটে দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষসহ দেশের কোন মানুষ যেন কষ্ট না পায় এবং অভুক্ত না থাকে সেজন্য জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধিসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, মানুষের দুঃসময়ে পাশে থেকে সেবা দিতে হবে। ছুটি ঘোষণার কারণে দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক, চা শ্রমিক, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়সহ অনেকের সমস্যা হচ্ছে। যারা দৈনন্দিন কাজে যেতে পারছে না, তাদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সামাজিক কর্তব্য। তালিকা তৈরি করে তাদের কাছে সাহায্য ও খাদ্যদ্রব্য পাঠাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড অনুযায়ী তালিকা তৈরি করতে হবে যেন সবাই সাহায্য পায়, কেউ যেন বাদ না পড়ে। দেশের মানুষকে সুরক্ষিত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের সবার প্রধান কর্তব্য। সরকারী ছুটির মেয়াদ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধির ঘোষণা এবং বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাঙালীর প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ বৈশাখের আনুষ্ঠানিক সকল কর্মসূচী স্থগিতের কথা জানিয়ে বলেন, জনসমাগম করে বৈশাখের অনুষ্ঠান সারা বাংলাদেশে বন্ধ রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বর্তমান পরিস্থিতিতে দরিদ্রদের সহযোগিতায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সবার উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই দুঃসময়ে কেউ সুযোগ নিলে, কোন অভিযোগ পেলে আমি কিন্তু তাকে ছাড়ব না। এক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র অনিয়ম সহ্য করা হবে না। সাহায্য পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কোন দুর্নীতি বা অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, সে যেই-ই হোক না কেন। গুজব ছড়ালে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে তিনি দেশবাসীকে উদ্দেশ করে বলেন, কেউ গুজবে কান দেবেন না, গুজব শুনবেন না, গুজব শুনে বিচলিত হবেন না। আমরা দেশের মানুষের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি। সে জন্যই বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে রয়েছে। ছুটির মধ্যে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালুর ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করার জন্য আমরা দ্রুতই চিন্তা-ভাবনা করে বলব, কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা ছাড় দেব। করোনার মধ্যে যেন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব না ঘটে সেজন্য এখন থেকেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, সিটি মেয়র, কাউন্সিলরসহ সবাইকে নির্দেশ দেন। বিশ্বের প্রায় দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়া নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশবাসীকে ভীত না হয়ে সহাসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে কোন দুর্যোগ আসলে আমি মনে করি এটা সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে। সে জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এখানে ভীত হওয়ার কিছু নেই। মনের জোর থাকতে হবে। এই রকম অনেক দুর্যোগ আমরা মোকাবেলা করেছি। ইনশাল্লাহ এটাও আমরা মোকাবেলা করে যাচ্ছি এবং আগামীতেও যাব। করোনাভাইরাসের হাত থেকে থেকে মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্য শুরু থেকেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে সমস্ত নির্দেশনা দিয়েছে সেই নির্দেশনা যখন আমরা পেয়েছি তার অনেক আগে থেকেই আমরা কিন্তু তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। সে কারণে বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মঙ্গলবার গণভবন থেকে দেশের আটটি বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এবং ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নোভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে আসন্ন ব্যাপক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ এবং সর্বোচ্চ খাদ্য উৎপাদনসহ সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর জোর দেন। সঙ্কটের সময় প্রয়োজন হলে যাতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে অন্য দেশকেও সহায়তা করা যায়, তার জন্য কোন জমি বা জলাশয় যাতে অনাবাদি না থাকে তা নিশ্চিত করতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো যুদ্ধের জন্য অনেক প্রস্তুতি নেয়, কিন্তু মাত্র একটি ক্ষুদ্র জিনিস (করোনা) সবাইকে এক করে ঘুরে ঢুকিয়ে দিয়েছে, এটাই হলো বাস্তবতা। সকাল ১০টা থেকে প্রায় সোয়া তিন ঘণ্টাব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। আটটি বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এবং ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সচিববৃন্দ সচিবালয় প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এবং ত্রাণমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সে সচিবালয় প্রান্ত থেকে যুক্ত হন। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, ব্যক্তিগত চিকিৎসক খ্যাতনামা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আবদুল্লাহ এবং পিএমও সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অন্যদের মধ্যে গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। সূচনা বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী একে একে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কার্যালয়, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ছাড়াও রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, সিলেট, বরগুনা, লালমনিটরহাট, কক্সবাজার ও গাইবান্ধা জেলার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা, সিভিল সার্জনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের এলাকায় সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশাসনের মাঠের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন এর পরিচালক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। দেশের প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা তরুণ জার্মান প্রবাসী ফয়সল শেখ ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, এই ভিডিও কনফারেন্সের পরে দেশের সার্বিক বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশবাসী জানতে পারল। এতে নানা গুজবের কারণে মানুষের মধ্যে যেটুকুও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল, তাও দূর হবে। তারা নিজ নিজ এলাকায় করোনা মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপ, মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, ঘরে রাখার প্রচেষ্টা এবং অসহায় মানুষদের মধ্যে পর্যাপ্ত সাহায্য-সহযোগিতা পৌঁছে দেয়ার কথাও জানান। তারা প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, তাদের এলাকায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে খাদ্য, অর্থ এবং পিপিই’র কোন অভাব নেই। তারা সমন্বিতভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলার যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার অঙ্গীকারের কথাও জানান প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সূচনা বক্তব্যে বলেন, পুরো বিশ্ব এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ধনী-গরিব, শক্তিশালী-দুর্বল, উন্নত-অনুন্নত এমন কোন দেশ নেই যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তাই করোনা মোকাবেলায় দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করাটা জরুরী। আমাদের দেশটা ছোট কিন্তু জনসংখ্যা ব্যাপক। এরপরও আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি বলেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে রয়েছে। সবাইকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আপনারা এসব নির্দেশনা মেনে চলুন। কেননা নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। বিশ্বব্যাপী করোনার থাবা রয়ে গেছে। আমরা বিশ্ব থেকে দূরে নই। আমাদের আরও সচেতন থাকা দরকার। আমরা আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য অনেক আগে থেকেই কাজ করেছি। ভবিষ্যতে যাতে করোনাভাইরাস না ছড়ায় সেজন্য সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। করোনা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে কোন লুকোচুরি করার সুযোগ নেই। লুকোচুরি করলে নিজের জীবনকেই ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া হবে। নিজের পরিবারকে ঝুঁকিতে পড়বে। এক্ষেত্রে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। আর আমাদের সরবরাহ ব্যবস্থা এমনভাবে রাখতে হবে যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে, মানুষের আওতার মধ্যে থাকে। সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মানুষের দুর্ভোগের সুযোগ নিয়ে অযথা দাম বাড়িয়ে মুনাফা নেয়া এটা আসলে অমানবিক হবে। আমি বিশ্বাস করি আপনারা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখবেন। আর সবার জন্য পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) ব্যবহারের প্রয়োজন নেই বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্কটকালে কোন অনিয়ম হলে কাউকে ছাড়ব না ॥ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোন অনিয়ম বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কোন অভিযোগ বা কোন অনিয়ম যদি পাই, সে যেই হোক না কেন আমি কিন্তু তাকে ছাড়ব না। কাজেই সেভাবেই সবাই ঠিক থাকবেন। আগেই সতর্ক করলাম। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার এই জায়গাটাতে যেন কোন রকম দুর্নীতি, অনিয়ম না হয়। কোন রকম এই ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম হলে সেখানে কিন্তু এতটুকু ছাড় দেয়া হবে না। কারণ মানুষের দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে কেউ অর্থশালী-সম্পদশালী হয়ে যাবেন এটা কিন্তু আমরা কখনও বরদাশত করব না। সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কোন অভিযোগ বা কোন অনিয়ম যদি পাই যে যেই হোক না কেন আমি কিন্তু বিন্দুমাত্র তাকে ছাড়ব না। কাজেই সেভাবে সবাই ঠিক থাকবেন। আইনশৃঙ্খলার দিকে বিশেষ নজর দেয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। সেখানে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ সাধারণ কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রাখব কিন্তু আইনশৃঙ্খলা যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই দুঃসময়ে সুযোগ নিয়ে কেউ যেন কোন অপকর্ম করতে না পারে। আর করোনা সম্পর্কিত কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে। সেদিকে সবাইকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি বলেই করোনা নিয়ন্ত্রণে ॥ করোনা মোকাবেলায় দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করাটা জরুরী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশটা ছোট কিন্তু জনসংখ্যা বিশাল। এরপরও আমরা দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি। সেজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে রয়েছে। করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা সচেতন হয়েছি বলেই তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও আমাদের অবস্থা খুব খারাপ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব নির্দেশনা আমরা অনুসরণ করছি। দেশের মানুষকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আপনারা এসব নির্দেশনা মেনে চলুন। কেননা নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার থাবা রয়ে গেছে। আমরা বিশ্ব থেকে দূরে নই। আমাদের আরও সচেতন থাকা দরকার। আমরা আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য অনেক আগে থেকেই কাজ করেছি। ভবিষ্যতে যাতে করোনা না ছড়ায় সেজন্য সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। করোনা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে কোন লুকোচুরি করার সুযোগ নেই। লুকোচুরি করলে নিজের জীবনকেই ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া। শুধু নিজের নয়, পুরো পরিবারকেও ঝুঁকিতে ফেলা হবে। জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। জনকল্যাণে যেসব কাজ করতে হবে তা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। জীবন থেমে যাবে না, চলতে থাকবে। তবে জনগণকে আমাদের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখতে হবে। অনেক আগে থেকেই করোনা ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান আরও বলেন, চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর আমাদের বড় কর্তব্য মনে করেছি, জনগণের নিরাপত্তা দেয়া। সেটিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানসহ সব অনুষ্ঠানে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়। যেন সবাই নিরাপদে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের উহান থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা হলো, তাদের কোয়ান্টাইনে রাখা হলো। যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হলো, পরে অনেকেই চলে এলো। তাদের মধ্যে অনেকে সংক্রমিত। তাদের আলাদা রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলো। এরপর পর্যায়ক্রমে স্কুল-কলেজ বন্ধ করেছি। এই ভাইরাসের কারণে ২০ জনের মতো সংক্রমিত হলো পাঁচজনের অবস্থা খারাপ ছিল। তারা বয়স্ক, নানা রোগে আক্রান্ত ছিল। তখন মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সরকারী ছুটি ঘোষণা করলাম। সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, তাদের জীবন যেন স্তব্ধ না হয়, সে জন্য ব্যাংক কিছু সময় খোলা রাখা, কাঁচাবাজার চালু, পণ্য পরিবহন, জরুরী সেবা সবকিছুই সাধারণ মানুষের জন্য সীমিত আকারে চালু রেখেছি।’ প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, অনেক উন্নত দেশকেও দেখছি, সংক্রমিত হচ্ছে। সবাই যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করেছে বলেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। সারাবিশ্বে এখনও রয়েছে। এখনও আমরা বিশ্ব থেকে দূরে নই। তাই করোনাভাইরাস ঠেকাতে সচেতন থাকা দরকার। আইইডিসিআর কাজ করছে। শুধু ঢাকা নয়, বিভাগীয় পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, জীবন থেকে থাকবে না, চলবে। সেদিক লক্ষ্য রেখেই কাজ করতে হবে। জনগণের জীবনকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। সেটা করতে গিয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়া যাবে না। গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে করোনাভাইরাস নিয়ে ছড়ানো গুজব নিয়ে মানুষ যেন বিভ্রান্ত না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্য মাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ালে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি বলেই আপনাদের (জেলা প্রশাসক) সঙ্গে কথা বলতে পারছি, সেই সুযোগটা পাচ্ছি। ভবিষ্যতে হয়ত আরও কথা বলব। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন এ্যাপসে নানা ধরনের গুজব অনবরত ছড়ানো হয়ে থাকে। নানা ধরনের কথা অনেকে বলে থাকেন। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরে থেকেও কেউ কেউ বলেন। তিনি বলেন, যারা এগুলো বলবেন যদি কেউ মিথ্যা অপপ্রচার করেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সঙ্গে সঙ্গে নিতে হবে। আর গুজব কেউ শুনবেন না, কান দেবেন না, গুজবে বিচলিত হবেন না। আমরা দেশের মানুষের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে হবে, এ জন্য আরেকটু কষ্ট করতে হবে সবাইকে। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের এ সংক্রান্ত বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে অনেক কথা বলবে, অত পাত্তা দেয়ার কিছু নেই। দেশের কিছু মানুষ তো আছেই, তারা কিছুই দেখে না, কিছুই করে না- কিন্তু বলার সময় কথার ফুলঝুরি ছড়ায়। তাদের কথায় কান না দিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, এ সঙ্কট থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে। বৈশ্বিক মন্দা ঠেকাতে এখনই প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ ॥ করোনা পরবর্তী বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে এখন থেকেই পরিকল্পনা নিতে হবে। চাষাবাদের উপযোগী কোন জমি যেন পতিত না থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মন্দা থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য চাষাবাদের পাশাপাশি সরবরাহ ব্যবস্থাও চালু রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, অর্থনীতি চালু রাখতে হবে। সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক কর্মকা- স্থবির হয়ে গেছে। বিশ্বের অনেকেই বলছে, বিশ্ব মন্দা দেখা দিতে পারে। তার জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে। খাদ্যের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের সুবিধা আছে, উর্বর ভূমি আছে, আমাদের মানুষ আছে। বঙ্গবন্ধুও বলেছিলেন, বাংলাদেশের মাটি আছে, মানুষ আছে। তাদের নিয়েই দেশ গড়ব। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদন যেন অব্যাহত থাকে। দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে, কোন পুকুর যেন পড়ে না থাকে। তাতে করে আমরা নিজেরা নিজেদের খাদ্য দিয়ে চলতে পারব, অন্যদেরও সহায়তা করতে পারব। সে সক্ষমতা আমাদের আছে। যেখানে সম্ভব, ফসল ফলান। খামার করুন। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার, এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, সামনে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ। ফল আসবে। এরপরও সব নিশ্চিত করতে হবে। সারসহ যা কিছু লাগে, তা যেন সরবরাহ করা হয়। উদ্যোগ নিলে বিশ্ব মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারব। সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। আর সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। কৃষকের বা শিল্প খাতের উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হবে। কৃষিমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ফসল ফলানোর জন্য যা যা উপকরণ দরকার হয়, অনুরোধ করব, সেই উপকরণগুলো যাতে সরবরাহ হয়। সেটা যেন যথাযথভাবে মানুষের কাছে পৌঁছায়। সেই উদ্যোগটা নিলে আমি মনে করি, আমরা বিশ্বমন্দা কাটিয়ে উঠতে পারব- এটা আমাদের খুব একটা ক্ষতি করতে পারবে না। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান থাকছে না ॥ অনুষ্ঠানে দেশের নোভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে এবার বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান না করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নববর্ষের অনুষ্ঠান আমি মনে করি ডিজিটাল পদ্ধতিতেই আপনারা করতে পারেন। সেখানে সবাই যথাযথ আকারে করুন। কিন্তু বিশাল জনসমাগম করে এই অনুষ্ঠান সারা বাংলাদেশে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। এটা আমার বিশেষ অনুরোধ। নোভেল করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে বলে সব ধরনের জমায়েতে আগেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। গত ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠানও একই কারণে বাতিল করে টেলিভিশনের মাধ্যমে উদ্বোধনী আয়োজন দেখানোর ব্যবস্থা হয়। এখন নববর্ষের আয়োজন বন্ধের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কষ্ট বেশি লাগছে আমার। এটা ঠিক যে নববর্ষের উৎসব এটা আমরাই শুরু করেছিলাম অনেক বাধা-বিঘœ অতিক্রম করে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা বিরোধী দলে থাকতে যখন পহেলা বৈশাখ পালনে কর্মসূচী ঘোষণা করি, তখন এটি নাকি হিন্দুদের অনুষ্ঠান, একথা বলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আমদের ঘোষিত অনুষ্ঠান পালনে বাধা দিয়েছিল। আমরা অনেক বাধা মোকাবেলা করেই পহেলা বৈশাখ পালন করেছি। অথচ আজকে সেটাও আমাকে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মানুষের কল্যাণের দিকে তাকিয়েই কিন্তু আমরা এটা বন্ধ রাখছি। তাই বাংলা নববর্ষে এ বছর যাতে জনসমাগম হয় তেমন কিছু করা উচিত হবে না। তবে ডিজিটাল ব্যবস্থায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। ঘরে বসে পড়াশোনা করতে হবে ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারী-বেসরকারী অফিসের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও। পহেলা এপ্রিল থেকে শুরুর কথা থাকলেও স্থগিত করা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা। ঘরে বসে পড়াশোনা করে মূল্যবান এই সময়টা কাজে লাগাতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘরে বসে সবাইকে পড়াশোনা করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের কাছে এটা আমার অনুরোধ। একটা সুযোগ এসেছে ভালভাবে পড়াশোনা করার। পড়াশোনার মাধ্যমে নিজেকে এখন থেকে প্রস্তুত কর যখনই পরীক্ষা আসবে তখনই যেন পরীক্ষা দিতে পার। একই সঙ্গে ক্লাস যেন ধরতে পার সেজন্য পড়াশোনা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার এ সময় অনলাইন ও টেলিভিশনে ক্লাসের ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্কুলের ক্লাসগুলো আমরা করতে শুরু করেছি। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত এই ক্লাসগুলো আমরা পর্যায় ক্রমিকভাবে করছি। ছেলেমেয়েরা ঘরে বসে থেকে লেখাপড়া যেন ভুলে না যায়। সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমেও ক্লাসগুলো প্রচার করা হচ্ছে। অন্যান্য টেলিভিশনও করছে, সংসদ টেলিভিশন সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার জন্য আমরা দিয়ে দিয়েছি। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন ক্লাসগুলো করতে পারে, তাদের পড়াশোনাগুলো দেখতে পারে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে আমরা চিন্তিত ॥ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই না, বাইরের কেউ আর ওখানে ঢুকুক। যেহেতু একটা কেস (করোনা আক্রান্ত রোগী) পাওয়া গেছে, আর যেন সংক্রমিত না হয়- এ জন্য সেখানে পর্যটকও যেতে পারবে না। সবই বন্ধ রাখতে হবে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে শুরু করে সবকিছু যেন ভালভাবে সংরক্ষিত হয়, সেটা দেশতে হবে।’ রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়েই আমরা চিন্তিত। কারণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যদি কোন কিছু হয়ে যায়, তাহলে খুবই ক্ষতি হবে। এ জন্য বাইরের কোন লোকের দরকার নেই। আমাদের যারা আছে, তারাই সার্ভিস দেবে। ওখানে তো আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সশস্ত্রবাহিনী, সেনাবাহিনী সকলেই তো আছেন। তারা তো কাজ করছে। আমরা নিজেদের লোক দিয়েই সব করাব। বাইরের লোক যেন এই সময়ের মধ্যে বেশি কেউ না যায়, সেটা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
×