ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তহবিল গঠনের পদক্ষেপ আকরামদের

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ৩০ মার্চ ২০২০

 তহবিল গঠনের পদক্ষেপ আকরামদের

মোঃ মামুন রশীদ ॥ কয়েকদিন আগেই জাতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটাররা বেতনের অর্ধেক করে সহায়তা দিয়েছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলার জন্য। এছাড়াও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের মানুষকে কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে সময় কাটাতে হচ্ছে জন্য কয়েকজন ক্রিকেটার ব্যক্তিগতভাবেও নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। দেশের সাবেক তারকা ক্রিকেটাররাও এবার এগিয়ে আসছেন। বাংলাদেশ দলকে আইসিসি ট্রফি জেতানো অধিনায়ক আকরাম খান চাইছেন তার সময়সাময়িক ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি গ্রুপ করে তহবিল গঠন করতে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইতোমধ্যেই কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। আকরাম দৈনিক জনকণ্ঠকে জানালেন, অন্তত ১৫/২০ লাখ টাকার একটি ফান্ড করতে চান তারা এবং তা নিজেদের উদ্যোগেই অসহায় মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে চান। তবুও এই পরিস্থিতিতে সামাজিক মেলামেশা বন্ধ রেখে এখন ঘরে বসে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি এবং নিদের্শনা অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন দেশের মানুষকে। ১৯৯৭ সালে আকরামের নেতৃত্বেই আইসিসি ট্রফি জিতে বাংলাদেশ এবং বিশ্বকাপ খেলার টিকেটও নিশ্চিত করে। দেশের সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসা পেয়েছিলেন তখন আকরাম, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, মোহাম্মদ রফিক, খালেদ মাসুদ পাইলট ও খালেদ মাহমুদ সুজনরা। দেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষদের কাছে এখনও তারা মহাতারকার আসনে আসীন। তবে বর্তমানে সেই ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ আতঙ্কের মধ্যে সময় পার করছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশেও আঘাত হেনেছে। এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব ধরে রাখাটা সংক্রমণ রোধের অন্যতম উপায়। তাই দেশে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি চলছে যাতে সবাই ঘরের ভেতরে সময় কাটাতে পারেন এবং জনসমাগমটা কম হয়। যার কারণে অনেক খেটে খাওয়া মানুষ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী আর্থিক সঙ্কটে খাদ্য সমস্যায় ভুগছেন। তাদের সহায়তায় তাই হাঁটতে চান আকরামরাও। এবারও এ বিষয়ে নেতৃত্বে থাকা আকরাম বলেন, ‘আমরা সবাই এখন যার যার বাসায় আছি। তবে যারা সাবেক অধিনায়ক আছি আমরা এবং যাদের মোটামুটি সামর্থ্য রয়েছে অনেকের সঙ্গেই এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছি। যাতে করোনা সমস্যা মোকাবেলায় আমরা অন্তত ১৫/২০ লাখ টাকার একটা ফান্ড গড়তে পারি। তহবিল হয়ে গেলে আমরা কিভাবে এটা কাজে লাগাব তা আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব।’ এই মুুহূর্তে চট্টগ্রামে নিজের বাড়িতেই সময় কাটাতে হচ্ছে। দূরালাপনিতে এ বিষয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে বলেই বিষয়টি দ্রুত হচ্ছে না। কিন্তু এই সময়ে দেশের মানুষের প্রতি আকরাম বললেন, ‘পরিস্থিতি এমন যে সবাই বিচ্ছিন্ন। তবুও আমি সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তাদের নিয়ে মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসতে চাই। তহবিল করার পর আমরা যাদের সহায়তা প্রয়োজন সেটা বুঝেই তাদের সহযোগিতা করব। কিন্তু আমি বলব এখন আপনারা ঘরে থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আমরা যদি সবাই সতর্ক থাকি তাহলে এই সঙ্কট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব। সারা পৃথিবীর সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও যেহেতু মহাবিপদ একটা আসছে তাই পরিবারের সঙ্গে থেকে সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। সবসময় সাবান-পানিতে হাত ধোবেন। আমিও পরিবারের সঙ্গে থাকছি এবং সবার জন্য দোয়া করছি যেন এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারি আমরা।’
×