ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্যান্ডার্সের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ

বাইডেনের প্রতি ডোনারদের ঝোঁক

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ৭ মার্চ ২০২০

 বাইডেনের প্রতি  ডোনারদের ঝোঁক

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বড় অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকরা কয়েক মাস নিজেদের মধ্যে লেখালেখির পরে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এবং এলিটদের দুর্ভোগ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত বার্নি স্যান্ডার্স বিষয়টি জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে এক তহবিল উত্তোলন ই-মেইলে স্যান্ডার্সের প্রচারে লেখা হয়েছে, দেশের রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা আমাদের এ তৎপরতা বন্ধের জন্য ক্ষিপ্রতার সঙ্গে চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবারের সুপারে বাইডেনের বড় বিজয় অর্জনের পর এ ই-মেইলটি প্রচারিত ই-মেইলগুলোর অন্যতম। ই-মেইলে লেখা হয়েছে, তারা এখন পুরোপুরি তাদের প্রার্থী জো বাইডেনের পক্ষে রয়েছেন এবং তাদের সুপার পিএসিগুলো আমাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। তাই, তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে গ্রহণের লক্ষ্যে আজ আমাদের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। টাইম। ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন এখন দু’ব্যক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ঠেকেছে। দু’প্রার্থীর প্রচারে অর্থায়ন মডেলের মধ্যে অত্যন্ত পার্থক্য রয়েছে এবং এগুলো এখন এক পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে। বাইডেনের প্রচারে অর্থায়ন করছেন দীর্ঘদিনের ডেমোক্র্যাটিক চাঁদাদাতা ও প্রচুর অর্থবান ব্যক্তিরা। তারা এখন বাইডেনের সমর্থনে এক হয়েছেন এবং তৃণমূলে ক্ষুব্ধ চাঁদাদাতাদের ব্যাপক গতিশীলতা স্যান্ডার্সকে উসকে দিচ্ছে। এক কথায় এ দু’ধরনের অর্থায়নে মডেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জন্য প্রতিযোগিতাপূর্ণ দিকের এক ক্ষুদ্র দিক বা মাইক্রোজম। লড়াইয়ে যে কেউ বিজয় অর্জন করুন না কেন ঠিক তাকেই দলের মনোনয়ন দেয়া হবে না। কিন্তু এতে দলের ভবিষ্যত অর্থায়নের মডেলটি নিরূপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাইডেনের কখনও তার তহবিল উত্তোলনের দক্ষতা ছিল না এবং ঠিক কয়েক দিন আগেও তা ছিল না। ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের (এফইসি) এক হিসাবে বলা হয়েছে, তিনি এ বছরের জানুয়ারিতে মাত্র ৮৯ লাখ ডলার উত্তোলন করতে সমর্থ হয়েছেন এবং অন্যদিকে, স্যান্ডার্স উত্তোলন করেছেন ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ওপর। ৩ মার্চ সুপার টুয়েসডেতে প্রতিযোগিতায় বিজয় অর্জনের পর সাউথ ক্যারোলিনার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টের ব্যাপক বিজয়ের পর থেকে স্যান্ডার্স ও হাওয়াইয়ের সাবেক প্রতিনিধি টুলসি গ্যাবার্ড ব্যতীত সকলে মনোনয়ন প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়াল এবং বাইডেনের অর্থ তহবিলও বাড়তে থাকে। প্রচারে বুধবার এক ঘোষণায় বলা হয় তহবিল ৭১ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। আইন প্রতিষ্ঠান কোজেন ও’কনার ও ফিলাডেলফিয়াভিত্তিক বাইডেন ডোনারের প্রতিষ্ঠাতা এ্যাটর্নি স্টেফেন কোজেন বলেন, সাধারণ মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে আমার কাছে অর্থ পাঠাবে না। এ রকমটাই চলছিল। কারণ, তারা ভাবতে পারেননি যে, তিনি (বাইডেন) নেতৃস্থানীয় প্রার্থীতে পরিণত হতে যাচ্ছেন। পেটি (বুটিগিগ) ও এ্যামি (ক্লোবুচার) মঞ্চে। প্রবেশের পর এবং (মাইকেল) ব্লুমবার্গ সরে যাওয়ার পর পরিস্থিতি বাইডেনের পক্ষে চলে যায়।
×