ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অনুজ্জ্বল অভিষেক বার্সিলোনা ও নেপোলি কোচের

প্রকাশিত: ১২:০৮, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

অনুজ্জ্বল অভিষেক বার্সিলোনা ও নেপোলি কোচের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মর্যাদার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে কোচ হিসেবে অভিষেক হয়েছে বার্সিলোনার কিকে সেটিয়েন ও নেপোলির জেনারো গাট্টুসোর। নেপলসে মঙ্গলবার রাতে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসরে নিজেদের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ডাগআউটে দাঁড়ান এই দুই কোচ। তবে দু’জনের কারোরই অভিষেক মনের মতো হয়নি। কেননা নেপোলি ও বার্সার মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ম্যাচ শেষে বার্সা বস ইতালিয়ান জায়ান্টদের রক্ষণাত্মক ফুটবলের সমালোচনা করেন। তেমনি মুহূর্তের ভুলে জয় হাতছাড়া হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন নেপোলি কোচ। ম্যাচশেষে সেটিয়েন বলেন, নেপোলি সবসময় তাদের সীমানায় ঘোরাফেরা করেছে। নিজেদের দশজন খেলোয়াড় দিয়ে শুধু রক্ষণ কাজ করে গেছে। এটাও সত্যি কথা যে আমরাও বিশেষ ভাল খেলিনি, পর্যাপ্ত গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারিনি। এর আগে দুইবার বার্সিলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ থেকে যখনই বিদায় নিয়েছিল, দ্বিতীয় লেগ হয়েছিল অন্যের মাঠে (২০১৯ সালে লিভারপুল, ২০১৮ সালে এএস রোমা)। এজন্য নেপোলিকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে ওঠার ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী বার্সা বস। তিনি বলেন, আমার কাছে ফলাফল ইতিবাচক মনে হয়েছে। কারণ পরের লেগটা আমরা নিজেদের মাঠে খেলতে যাচ্ছি। সেটিয়েন বলেন, শেষ পর্যন্ত ড্র করতে পারাটা সত্যিই সৌভাগ্যের। আরেকটি হোম ম্যাচের দিকে এখন আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে। নেপোলি কোচ গাট্টুসো বলেন, খেলোয়াড়রা ভাল খেলেছে। তবে এই ফলাফলে আমরা বিচলিত। একটি মুহূর্তের ভুলে আমাদের শাস্তি পেতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, লা লিগায় এইবারের বিরুদ্ধে বার্সিলোনা যা করেছে তা করতে না পারাটা নেপোলির কৃতিত্ব। আমি মনে করি কিছুই এখনও শেষ হয় যায়নি। যদিও আমরা জানি এই যাত্রাটা অনেক কঠিন। মেসি ও গ্রিজম্যানের মতো খেলোয়াড় যে দলে আছে তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতেই হবে। নেপোলি অধিনায়ক লরেঞ্জো ইনসিগনে বলেন, আমরা জিততে পারতাম। এ কারণেই হতাশাটা বেশি। লিওনেল মেসির মতো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে খেলাটা সত্যিই বিশেষ কিছু। আরেক ম্যাচে লন্ডনে স্বাগতিক চেলসিকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বেয়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচশেষে চেলসি কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড হতাশা প্রকাশ করেন। সাবেক ইংলিশ তারকা বলেন, আমাদের পারফর্মেন্স মোটেও ভাল ছিল না। মাঝে মাঝে সত্যিটা মেনে নিতেই হয়। প্রতিটি বিভাগেই বেয়ার্ন আমাদের থেকে এগিয়ে ছিল। আর এটা অনেকটা নির্ধারিতই ছিল। তারপরও আমরা তাদের বিরুদ্ধে একেবারেই কিছু করতে পারিনি, বিষয়টা হতাশার। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ আমাদেরই খুঁজে বের করতে হবে। আগামী ১৮ মার্চ মিউনিখের এ্যালিয়েঞ্জ এ্যারানায় ফিরতি লেগ বেয়ার্নের মাঠে খেলতে হবে চেলসিকে। কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন। তবে ইতিহাস থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারে ব্লুজরা। ২০১২ সালে এই মাঠেই জার্মান জায়ান্টদের ফাইনালে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জিতেছিল চেলসি।
×