ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আলোচনা সভায় তোফায়েল

বঙ্গবন্ধুর মতো বিচক্ষণ নেতা শুধু দেশে নয়, বিশ্বেও বিরল

প্রকাশিত: ১০:০৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  বঙ্গবন্ধুর মতো বিচক্ষণ নেতা শুধু দেশে নয়, বিশ্বেও বিরল

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর তুলনা শুধু বঙ্গবন্ধুই হতে পারেন, অন্য কেউ নয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, একাধারে সমাজের, দেশের, বাঙালী এবং বিশ্বের বন্ধু ছিলেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। সমুদ্রের গভীরতা মাপা যাবে, কিন্তু জনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর পরিমাণ মাপা যাবে না। তাঁর মতো বিচক্ষণ নেতা শুধু দেশে নয়, বিশ্বেও বিরল। রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রাপ্তি-শ্রদ্ধা, ভালবাসার এক অমলিন স্মৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাঙালীর মহাজাগরণের পথিকৃৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অকুতোভয়। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধু আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে গেছেন। তাঁর একমাত্র লক্ষ্যই ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। তাঁর রাজনীতির মূল দর্শন বাঙালীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ স্নেহভাজন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোসহীন নেতা। তাঁর আপোসহীন দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে তাঁকে বার বার হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আবার তিনি যখন কথা বলতেন ভেবে-চিন্তা করে কথা বলতেন। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। তিনি যেটা বলেছেন, সে ব্যাপারে অনড় থেকেছেন। যুগে যুগে অনেক নেতা এসেছেন, তবে বঙ্গবন্ধুর মতো এত বিচক্ষণ নেতা বিশ্বে বিরল। তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, এরপর দলকে সংগঠিত করেছেন, পরে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তারপর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।’ আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আরও বলেন, ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি যখন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ দেয়া হয়, সেদিন আমি তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করেছিলাম। বলেছিলাম- ‘সার্জেন্ট জহুরুল, অধ্যাপক শামসুজ্জোহা, আসাদ, রুস্তমের রক্তের বিনিময়ে তোমাকে মুক্ত করেছি। আমরা তোমার কারণে ধন্য, তোমার কাছে ঋণী। আজ তোমাকে একটি উপাধি দিয়ে কিছুটা ঋণ থেকে মুক্ত হতে চাই।’ এরপর পুরো জাতির পক্ষ থেকে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পীকার বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের প্রজন্ম এবং আমাদের পরবর্তী যত প্রজন্ম আছে, সবাইকে ফিরে যেতে হবে ১৯৪৮ থেকে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত। ফিরে যেতে হবে ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট, ৬৬ সালের ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং একাত্তরের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের কাছে এবং ফিরে যেতে হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে।’
×