ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি চুরির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে  ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি চুরির অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি চুরির অভিযোগ নতুন নয়। এ বার আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও পাকিস্তানের পাঁচ ব্যবসায়ী। রাওয়ালপিণ্ডির একটি সংস্থা ‘বিজনেস ওয়ার্ল্ড’-নামে ওই সংস্থার পাঁচ কর্তাকে আমেরিকা গ্রেফতার করার পর কূটনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য। উদ্বেগ বেড়েছে ভারতেরও। মার্কিন বিচার বিভাগের মতে, এই পাঁচ জন কানাডা, হংকং ও ইংল্যান্ডে থাকেন। আন্তর্জাতিক একটি চক্রের মাধ্যমে তারা পাকিস্তান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন (পিএইসি)-কে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রযুক্তি সরবরাহ করে। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল জন সি ডেমার্স বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা মার্কিন মুলুকের এমন জিনিস চোরাচালান করেছেন, যা পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার অস্ত্র চুক্তির পক্ষে বিপজ্জনক। ধৃত পাঁচ জনের নাম কামরান ওয়ালি (৪১), মহম্মদ এহসান ওয়ালি (৪৮) হাজি ওয়ালি মহম্মদ শেখ (৮২) আশরফ খান মহম্মদ এবং আহমেদ ওয়াহিদ (৫২)। এঁদের মধ্যে কামরান পাকিস্তানের বাসিন্দা। এহসান ও হাজি কানাডায় থাকেন। আশরফ হংকং এবং ওয়াহিদ ইংল্যান্ডে থাকেন। তবে জন্মসূত্রে সবাই পাকিস্তানি। তাঁদের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল এমার্জেন্সি ইকনমিক পাওয়ার অ্যাক্টে ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভাবে এই চোরাচালানের ঘটনা সামনে আসার ফলে ভারত-সহ পাকিস্তানের প্রতিবেশী সব দেশেরই উদ্বেগ বেড়েছে। মার্কিন বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, এই পাঁচ জনের কর্মকাণ্ড আমেরিকা তো বটেই, গোটা ভারতীয় উপমহাদেশের সব দেশের কাছেই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকলেও আন্তর্জাতিক মহল মনে করে, পাকিস্তানের নিজস্ব কোনও পরমাণু প্রযুক্তি নেই। প্রায় পুরোটাই অন্যান্য দেশ থেকে প্রযুক্তি চুরি করে তৈরি হয়েছে সেই সব যুদ্ধাস্ত্র। ফের সেই চুরি ধরা পড়ায় কূটনৈতিক মহল মনে করছে, পাকিস্তান সেই কর্মকাণ্ড এখনও বন্ধ করেনি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×