ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চলে গেলেন ঋত্বিক ঘটকের যমজ বোন প্রতীতি দেবী

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ১৪ জানুয়ারি ২০২০

চলে গেলেন ঋত্বিক ঘটকের যমজ বোন প্রতীতি দেবী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের যমজ বোন প্রতীতি দেবী মারা গেছেন। রবিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পুত্রবধূ এবং সংসদ সদস্য আরমা দত্তের মা। মহাশ্বেতা দেবীর পিসি। তার লেখা বইয়ের মধ্যে ‘ঋত্বিককে শেষ ভালোবাসা’ বেশ পরিচিত। প্রতীতি দেবীর মৃত্যুর খবরটি তার মেয়ে আরমা দত্ত নিশ্চিত করেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। প্রতীতি দেবী ১৯২৫ সালের ৪ নবেম্বর জন্মগ্রহণ করেন পুরান ঢাকার হৃষিকেশ দাস রোডের এক বাড়িতে। ঋত্বিক ঘটক আর প্রতীতি দেবী ঘটক জন্মেছেন পাঁচ মিনিটের অনুজ সহোদরা হিসেবে। সে সময় যমজের ডাকনাম রাখা হয় ভবা ও ভবি। ভবা হচ্ছেন ঋত্বিক, ভবি হচ্ছেন প্রতীতি দেবী। তাদের বাবা সুরেশ ঘটক ছিলেন তৎকালীন ঢাকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট। পরিবারের অধিকাংশ ব্যক্তি অনেকের মতোই বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু পরে নিজের দেশে ফিরে আসেন প্রতীতি। তার বিয়ে হয় ভাষা সংগ্রামী ও পূর্ব পাকিস্তানের মন্ত্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পুত্র সঞ্জীব দত্তের সঙ্গে। পুত্র রাহুল দত্ত ও কন্যা আরমা দত্তকে নিয়ে বাংলাদেশেই তিনি থেকে যান। মাঝে কিছুদিন আগরতলা, কলকাতা ও প-িচেরিতে তিনি অবস্থান করেছিলেন। কিন্তু নিজের মাটিকে ছেড়ে যাননি। তার চোখের সামনে ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ কুমিল্লার নিজ বাসভবন থেকে পাক হানাদার বাহিনী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও তার ছোট ছেলে দিলীপ কুমার দত্তকে ধরে নিয়ে যায়। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ গড়ে ওঠার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছে প্রতীতি দেবীর পিতৃগৃহ ও শ্বশুরবাড়ির পরিবার। তিনি নিজেও নানা সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সোমবার সকাল ১০টায় মগবাজার সেঞ্চুরি টাওয়ার প্রাঙ্গণে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
×