ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

কায়সারের আপীল মামলার রায় আজ

প্রকাশিত: ১১:১৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২০

কায়সারের আপীল মামলার রায় আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জাতীয় পার্টির সাবেকমন্ত্রী ও কায়সার বাহিনীর প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে আপীলের নবম মামলার রায়টি ঘোষিত হবে আজ মঙ্গলবার। আপীল বিভাগের কার্যতালিকায় মামলাটি এক নম্বরে রাখা হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট আপীল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান। ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধে তাকে মৃত্যুদ- প্রদান করে চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপীল করা হয়। সৈয়দ কায়সারের পক্ষে এ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন আপীলটি করেন। আপীলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপীলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে। আসামি কায়সার একজন শিল্পপতি। আসামি তার বাবা ও মামার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৬২ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী গণতন্ত্রকামী বাঙালীর আনেদালনকালে কনভেনশন মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি লন্ডন পালিয়ে যান, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পরে তিনি দেশে ফিরেন। দেশে ফিরে প্রথমে বিএনপির জেলা সভাপতি। নমিনেশন না পেয়ে এরশাদের দলে যোগ দেন এবং এমপি ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি ভেঙ্গে গেলে কায়সার বিএনপিতে শাহ আজীজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন দলের যুগ্ম-মহাসচিব হন। এরপর এরশাদ ক্ষমতায় এলে কায়সার হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হন। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। এ সময় প্রথমে তিনি জাতীয় পার্টির হুইপ ও পরে ১৯৮৯ সালে কৃষি প্রতিমন্ত্রী হন।
×